গতকাল হাইকোর্টে বিচারপতিকে আটকে দেওয়া, ধস্তাধস্তির ঘটনার পর এদিনও বিরম্বনা অব্যাহত ছিল। এর আগে পোস্টার পড়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বাড়িতেও। এই ঘটনা সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছালে বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ। পাশাপাশি বিশিষ্ট এই আইনজীবীর মতে, এই ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
গতকালের ঘটনার পরই এদিনও হাইকোর্টে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অরুণাভ ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'যাঁরা এসব করছে তাঁরা আইনজীবীই নয়। আদালতে মামলা করে না। ভাল আইনজীবী হিসাবে তাঁদের কোনও সুনাম নেই। বাড়িতে কেউ পোস্টার মারে এটা খুব খারাপ আচরণ। প্রধান বিচারপতিকে বলে এসেছি ব্যবস্থা নিতে। এটা বার অ্যাসোসিয়েশনের বিষয় নয়।'
আরও পড়ুন- এজলাসে ঢুকতে ‘বাধা’, আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার
আরও পড়ুন- ‘মিথ্যা কথা-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’, আইনজীবীদের একাংশকে সরাসরি তোপ অরুণাভ ঘোষের
আদালতে আইনীজীবদের ধস্তাধস্তি নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বিজেপি নেতা আইনজীবী তরুণজ্য়োতি তেওয়ারি, ‘টিএমসি লিগ্যাল সেল আবার ১৩ নম্বর এজলাস বয়কট করেছে। তারা আইনজীবীদের আদালতে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। টিএমসি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও আদেশ দিতে বিচারপতি রাজশেখর মন্থাকে বাধা দিতে চায়।’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কারা কোথায় কী পোস্টার মেরেছে জানি না। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে। তৃণমূল বিচার ব্যবস্থা, আদালত ও আইনের উপর পূর্ণ সম্মান রাখে।’
বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, 'আমরা প্রধান বিচারপতিকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। এই বিষয়টা যদি সুপ্রিম কোর্টে যায় কারও নাম দিয়ে তাঁর লাইসেন্সটা চলে যাবে। যদি বলে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না ভয়ে। এর আগে ওড়িশা হাইকোর্টে ২৬ জন আইনজীবীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টটাকে এরকম ভাবে ব্যবহার করা উচিত না। তাঁর মতে, এই ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।'