মঙ্গলবার সকালে ফের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের ডাক দেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের একাংশ। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রবল আলোড়ন পড়ে যায়। এই সিদ্ধান্ত বেআইনি বলে দাবি করেন অ্যাসোসিয়েশনের অন্য গোষ্ঠীর আইনজীবী সদস্যরা। দুই গোষ্ঠীর আইজীবীদের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কা বাধে। অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তের 'বৈধতা' নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধির কাছে মুখ খুলেছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ।
কী বলেছেন অরুণাভ ঘোষ?
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে সরাসরি বয়কটের প্রস্তাব আনেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আদালতে শান্তি বজায় রাখতেই এই প্রস্তাব। সম্পূর্ণটাই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতিকে জানানো হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অন্য গোষ্ঠীর আইনজীবীরা এই সিদ্ধান্ত মানতে চাননি। অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তকে 'বেআইনি' বলে দাবি তাঁদের। প্রতিবাদী আইনজীবীদের যুক্তি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহ-সভাপতি হাজির ছিলেন না।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টে বেনজিরকাণ্ড, এজলাসেই আইনজীবীদের তুমুল তর্কাতর্কি, ওসিকে তলব বিচারপতি মান্থার
প্রকৃত ঘটনা কী? বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, 'এজলাসে যেতে না চাইলে কেউ যাবেন না। কিন্তু কেউ যেতে চাইলে তাঁর যাওয়া আটকানোর অধিকার কারোর নেই। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আইনজীবীদের একাংশ যা দাবি করছে সেটা সম্পূর্ণটাই মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সভা হয়নি। বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের প্রস্তাবের উপর কোনও রেজোলিউশন হয়নি। এই বিষয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহসভাপতি কেউ কিছুই জানেন না।'
জটিল পরিস্থিতি। তাঁর এজলাসে আইনজীবীদের ঢুকতে দিচ্ছেন না আইনজীবীদেরই একাংশ। বিষয়টি জানতে পেরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাতাঁর ঘরের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি জানান, তাঁর এজলাসে ঢুকতে যাতে কেউ বাধা না পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। প্রয়োজনে ফোর্স বাড়াতে হবে।