এবার কাঠগড়ায় রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। সমবায় ব্যাঙ্কে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ও ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যানের পরিচিতদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শূন্যপদের দ্বিগুণ লোক চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগের ক্ষেত্রে পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগে অতিরিক্ত একটি হলফনামায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম থাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও মন্ত্রীমশাই এই ধরনের কোনও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এসএসসি, গরু পাচার, কয়লা পাচারের পর এবার সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলায় দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করে অভিযুক্ত হিসেবে মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম সামনে এসেছে। ওই হলফনামায় অভিযোগের আকারে বলা হয়েছে, ৫২টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ওই পদে শেষমেশ ১৩৪ জনের নিয়োগ হয়। শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্তি নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই হলফনামায়।
আরও পড়ুন- ‘আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি’, অভিযোগ ওড়ালেন SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান
এমনকী মামলাকারীর দাবি, সমবায় মন্ত্রী হিসেবে অরূপ রায়ই এই নিয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট চাকরির জন্য আবেদন না করেও অনেকে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্লখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে ওই সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সেই নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন- কেষ্ট যেতেই ‘বন্ধ’ টিকিট কাউন্টার, আসানসোল হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ রোগীদের
বৃহস্পতিবার সেই মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানিয়েছেন, কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। তবে সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি মন্ত্রীর।