Advertisment

করোনা আতঙ্কে বাংলায় গ্রামবাসীদের ‘বাধা’য় শিশুপুত্রকে নিয়ে ‘ঘরছাড়া’ মা

হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে ওই মহিলার শরীরে করোনাভাইরাস থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন আত্মীয়রা, পুলিশ সূত্রে খবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
corona, করোনা

প্রতীকী ছবি।

করোনা আতঙ্কে এক মহিলা ও তাঁর সদ্য়োজাত পুত্র সন্তানকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলায়। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা। সেখানে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে ওই মহিলার শরীরে করোনাভাইরাস থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন আত্মীয়রা, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা এলাকায়।

Advertisment

বুধবার ওই মহিলা ও তাঁর পুত্রসন্তানকে উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বাসিন্দা ওই আদিবাসী মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে লকডাউনের আগে চন্দ্রকোণায় এসেছিলেন। চাকরির খোঁজে চন্দ্রকোণায় আসেন তাঁর স্বামী। এরপর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আটকে পড়েন তাঁরা সেখানে। চন্দ্রকোণায় ভবানীপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: বাংলায় করোনায় মৃত বেড়ে ৩৩, ৭২ জনের মৃত্য়ু অন্য় কারণে: মুখ্য়সচিব

গত ২৪ এপ্রিল ওই মহিলা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পরিচয়পত্র ও নথি আনতে বাঁকুড়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। এদিকে, গত রবিবার ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে ওই মহিলা ও তাঁর পুত্রসন্তানকে ঢুকতে আপত্তি জানান ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

এ প্রসঙ্গে চন্দ্রকোণা থানার এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ''ওই মহিলা যেহেতু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সে কারণে গ্রামবাসীদের মধ্য়ে আশঙ্কা রয়েছে, হয়তো ওই মহিলার শরীরে ভাইরাস রয়েছে। সে কারণেই তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি''।

যদিও ওই মহিলা ও তাঁর সদ্য়োজাতকে আশ্রয় দিয়েছে গ্রামেরই একটি ক্লাব। ক্লাব চত্বরে অস্থায়ী শিবিরে তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের বিডিও অভিষেক মিশ্র পরে ওই মহিলাকে শেল্টার হোমে স্থানান্তরিত করেছেন। তিনি বলেন, ''মা ও শিশুর স্বাস্থ্য়ের কথা মাথায় রেখে সবরকম ব্য়বস্থা করা হচ্ছে''।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment