Advertisment

আসানসোলে তৃণমূল কাউন্সিলর খুন

খালিদ খানের খুনের প্রতিবাদে আসানসোলের বরাকরে মনবেড়িয়া তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দুষ্কৃতীর হাতে খুন তৃণমূলের কাউন্সিলর। ছবি- ছোটন সেনগুপ্ত

অশান্তির আবহ যেন ক্রমেই ছড়াচ্ছে রাজ্যে। ফের দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। মৃতের নাম খালিদ খান। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নিজের বাড়ির সামনেই ছিলেন আসানসোল পৌরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর। অভিযোগ, সেই সময়েই তিনজন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খালিদের। এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে একজন। ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisment

আরও পড়ুন- স্বঘোষিত গডম্যানের ‘মহাপ্রয়াণ’, আসানসোলে ভক্তদের ভিড়

ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরের মনবেড়িয়া এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনজন দুষ্কৃতীদের গুলিতে বিদ্ধ খালিদ তৎক্ষণাৎ মাটিয়ে লুটিয়ে পরে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

publive-image এখানেই গুলিবিদ্ধ হন খালেদ খান। ছবি- ছোটন সেনগুপ্ত

খালিদ খানের খুনের প্রতিবাদে আসানসোলের বরাকরে মনবেড়িয়া তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এই বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় বরাকর বাজারের সব দোকানপাট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে।" তবে এ ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকটিই উঠে আসছে। মৃত কাউন্সিলর খালেদ খানের ভাই মহঃ আরমানের অভিযোগ এই খুনের ঘটনায় কুলটি এলাকার তৃণমূল কর্মী কাদের খান সহ জড়িত রয়েছেন আরও তিনজন।

publive-image উত্তপ্ত আসানসোলের বরাকর এলাকা। ছবি- ছোটন সেনগুপ্ত

তবে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকার তৃণমূল বিধায়ক উজ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় যদি দলের কেউ জড়িত থাকে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।" পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে, তদন্তে নেমে প্রথমেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অনতিদূরে একটি নম্বর প্লেট বিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফে মনে করা হচ্ছে এই বাইকে চেপেই আততায়ীরা গুলি করে খালিদ খানকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

asansol
Advertisment