গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। আসানসোল বিশেষ আদালত এব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। জেলবন্দি সায়গলকে জেরার অনুমতি চেয়ে এর আগেও আদালতে আবেদন জনিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে প্রথমে সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল। এবার ইডির আবেদনে সাড়া আসানসোল বিশেষ আদালতের।
রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সায়গল হোসেন। ইডি ও সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচারের টাকাতেই পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এমনকী খাস কলকাতা শহরেও সায়গলের সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। নামে-বেনামে সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন সায়গল, এমনই দাবি ইডির।
আরও পড়ুন- প্রাণের পুজো ভেস্তে দেবে অসুর বৃষ্টি, পূর্বাভাসে মন খারাপ বাঙালির
মা ও স্ত্রী ছাড়াও সায়গলের একাধিক আত্মীয়ের নামেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। গত কয়েক বছরে দফায়-দফায় এই সম্পত্তির মালিকানা এসেছে সায়গল ঘনিষ্ঠদের হাতে। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই সম্পত্তির বেশ কয়েকটি হাত বদলের প্রত্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি।
আরও পড়ুন- উৎসব আবহে ফিরছে চেনা আতঙ্ক, লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা
সায়গলের মা-স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইতিমধ্যে সায়গলের মা ও স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই আসানসোলে সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন সায়গল হোসেন। কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ এই সম্পত্তি কেনার টাকা পেলেন তিনি? কে দিল তাঁকে এত টাকা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। সেই কারণেই তাকে জেলে গিয়ে জেরার আবেদন জানায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এবার ইডির আবেদনে সাড়া আদালতের। জেলে গিয়ে সায়গলকে সরাসরি জেরায় একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে। জানা গিয়েছে, ইডির বেশ কয়েকজন দুঁদে অফিসার আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করবে সায়গলকে।