Advertisment

Premium: উদয়াস্ত খাটুনিতে নামমাত্র মজুরি! 'আবেদন কানেই তোলেননি দিদি', মনমরা 'আম্মা' এবার কোন পথে?

Association of Midday Meal Assistants (AMMA): মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের কাছে এর আগে একাধিকবার নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেছে এই সংগঠনটি। এমনকী শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গেও তাঁদের বৈঠক হয়েছে। যদিও এঁদের দাবি, হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও মিলছে না ন্যায্য মজুরি। এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নিজেদের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি যে কাজে তাঁরা নিযুক্ত, সেই খাতে সরকারি বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে এই সংগঠনটি।

author-image
Joyprakash Das
New Update
Association of Midday Meal Assistants Amma demands wage hike from CM Mamata Banerjee

AMMA: স্কুলে চলছে মিড ডে মিল পরিবেশন।

Association of Midday Meal Assistants: এবারের রাজ্য বাজেটে ৫০০ টাকা বেড়ে মাসে মজুরি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকা। যেহেতু স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এই কাজে যুক্ত সেক্ষেত্রে মাসে এক একজনের রোজগার দাঁড়ায় গড়ে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো টাকা। অর্থাৎ দিন প্রতি ১০-১২ টাকা। বছরে মাইনে পান তাঁরা ১০ মাসের। কোনও সরকারি স্বীকৃতিও নেই এঁদের। রাজ্যে স্কুলগুলির মিড ডে মিলের কর্মীদের আর্থিক দূরাবস্থার কথা বললেন আম্মার কনভেনর জুবি সাহা। তাঁরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) কর্মীদের জন্য লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁদের অন্যতম দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের খাবারের বরাদ্দ বৃদ্ধি। যাতে আরও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার তাঁদের মুখে তুলে দেওয়া যায়। তবে অ্যাসেসিয়েশন অব মিড ডে মিল অ্যাসিস্ট্যান্ট (আম্মা)-র (AMMA) ডাকে সেভাবে সাড়া দেননি বাংলার 'দিদি', এমনই অভিমত এই সংগঠনের।

Advertisment

মিড ডে মিলের কর্মীদের সংগঠিত করতে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে মিড ডে মিল সহায়ক সমিতি বা আম্মা তৈরি হয়। তারপর ওই বছর ডিসেম্বরে বারাসতে পথে নামেন সংগঠনের সদস্যরা। ২০২৩-এ বছরের প্রথম চারমাসের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের খাবারের বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছিল রাজ্য সরকার। মে মাসে স্কুল ছুটিও দিয়ে দেয় রাজ্য। ওই বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ছিল। সংগঠনের দাবি, সেই বরাদ্দকৃত অর্থ চার মাস পর বন্ধ করে দিয়ে আর চালু করেনি রাজ্য। এদিকে মিড ডে মিলের কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আম্মা। কলকাতার পথে মিছিল, ডোরিনা ক্রসিং অবরুদ্ধও করে এই সংগঠন।

রাজ্যে 'দিদি' ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কী দাবি আম্মার? জুবি সাহা বলেন, 'মিড ডে মিল কর্মীদের জন্য পথে নামলেও আমাদের প্রধান দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের খাবারের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। একইসঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল চালু করা। এই ছাত্র-ছাত্রীরাই দেশের ভবিষ্যৎ। বাচ্চাদের এভাবে খাবার থেকে বঞ্চনা করলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। পাশাপাশি অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে খাবারের বরাদ্দ এরাজ্য থেকে অনেকটাই বেশি। মিড ডে মিল কর্মীদের কমপক্ষে ন্যূনতম মজুরি বা পে কমিশনের (Pay Commission) আওতায় আনতে হবে। ১০ মাসের নয়, ১২ মাসের বেতন দিতে হবে। উৎসবকালীন বোনাস (Bonous), মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave), চিকিৎসার দায় ভার নিতে হবে সরকারকে।' রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ ৩২ হাজার মিড ডে মিল কর্মী আছেন।

আরও পড়ুন- জীবনের কঠিন লড়াই জিততে মরিয়া ঈশিতা! মূক-বধির মেয়েটির দুরন্ত এগল্প প্রেরণা দেবে

এবার বাজেটে (Budget) রাজ্য সরকার মিড ডে মিল কর্মীদের ৫০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। জুবির বক্তব্য, '১১ বছর পরে এবার আন্দোলনের জেরে এই ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা কোনও সমাধানই নয়। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) সঙ্গে বৈঠকের কথা আছে। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে একবার বৈঠক হয়েছে। আমরা তাঁকে দাবি-দাওয়া জানাব। মন্ত্রীকে বলব, আপনি যদি মনে করেন রাজ্য বাজেটে পাঁচশো টাকা বাড়িয়ে ক্ষোভ প্রশমিত করা যাবে, সেটা ভুল করছেন। যে পরিমাণ ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের মধ্যে আমাদের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। যেমন জবাব পাব সেভাবে আমাদের পরবর্তী আন্দোলন আলোচনা করে ঠিক করব।'

আরও পড়ুন- Premium: বাংলার ‘মিষ্টি-গল্প’: স্বয়ং লর্ড কার্জন খেয়ে স্বর্গীয় সুখ পেয়েছিলেন, জানুন সীতাভোগ-মিহিদানার ইতিহাস 

Mamata Banerjee students West Bengal Mid day Meal AMMA
Advertisment