Atheist conference Nabadwip: বাংলায় নাস্তিকদের (atheist) প্রথম সভা। যাঁরা ভগবানে বিশ্বাস করেন না তাঁরা এক জায়গায় মিলিত হবেন। তারই তোড়জোড় নদিয়ার নবদ্বীপে (Nabadwip)। নবদ্বীপ ধর্মীয় শহর বলে পরিচিত হলেও নাস্তিকদের মতে এটি ধর্ম ব্যবসায়ীদের শহর। তাই প্রথম নাস্তিক সম্মেলন নবদ্বীপেই আয়োজন করা হয়েছে। এরপর তা সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
মূলত ঈশ্বরের দাবিকে অস্বীকার করে আয়োজন করা হচ্ছে নাস্তিক সম্মেলনের। মূল লক্ষ্য, ধর্মমুক্ত পৃথিবী গড়তে নাস্তিকতার প্রচার ও প্রসার, বাক স্বাধীনতা বিরোধী ধারা ২৯৫(এ) বাতিল, ধর্মীয় আগ্রাসন রোখা, সমমনস্ক ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। আয়োজকদের দাবি, বাংলা ভাষায় প্রথম নাস্তিক সম্মেলন ভারতের মধ্যে প্রথম নবদ্বীপে হচ্ছে।
সারা বাংলা থেকে নবদ্বীপের এই নাস্তিক সম্মেলনে হাজির হবেন প্রায় শ'তিনেক প্রতিনিধি। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মানসিকতার মানুষজন এই সম্মেলন অংশ নেবেন। নাস্তিক মঞ্চের পরিচালন কমিটির সদস্য প্রতাপচন্দ্র দাস বলেন, 'শুধু এরাজ্য থেকে নয়, ভিন দেশের তিন প্রতিনিধি ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন এই সম্মেলনে। আমেরিকা (America), সুইডেন (Sweden) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তাঁরা অংশ নেবেন।
সব কিছুই কলকাতা কেন্দ্রিক সভা-সমাবেশ হয়। তাই আমরা ধর্ম বাণিজ্য নগরীকেই বেছে নিয়েছি। আগামী ১৭ মার্চ নাস্তিক সম্মেলন হবে নবদ্বীপে। দিনভর আলোচনার শেষে নানা কমিটি তৈরি হবে। তারপর সারা বাংলাজুড়ে ব্লক ও জেলা ভিত্তিক সভা করবে নাস্তিক মঞ্চ। প্রতিবছর রাজ্য সম্মেলন হবে।'
ইতিমধ্যে নবদ্বীপ শহরে নাস্তিক সম্মেলনের পোস্টার পড়েছে। এই সম্মেলনের আয়োজন করতে গিয়ে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে বলে জানান প্রতাপচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, 'এমন সম্মেলন করলে একটু-আধটু বাধা তো আসবেই। উড়োফোনে হুমকি দিয়েছে। SMS-এ হুমকি এসেছে। ৩ মার্চ নবদ্বীপ জুড়ে পোস্টারিং করেছি। যতই বাধা আসুক সম্মেলন নির্দিষ্ট দিনেই হবে। ১৭ মার্চ সকাল ৯ টায় সভা শুরু হবে, শেষ হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা বেজে যাবে। এই নাস্তিক সম্মেলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই।'
প্রতাপচন্দ্র দাসের নবদ্বীপে সরকার পাড়ার বাড়ির নাম নাস্তিক ভিলা। তা নিয়েও নবদ্বীপে বিস্তর চর্চা আছে। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, সম্মেলনে ৭-৮টা ইউনিট তৈরি হবে। সংগঠন মজবুত হবে। এই মুহূর্তে ৫ জনের পরিচালন কমিটি আছে। ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। এই সম্মেলনের পর সদস্য সংখ্যা ব্যাপক বাড়বে বলে মনে করছেন প্রতাপচন্দ্র বাবু। আগ্রহী মানুষজন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।