পঞ্চায়েতের তত্বাবধানে রাস্তার দু’ধারে বাঁধের উপর শয়ে শয়ে গাছ লাগিয়ে তার পরিচর্যা করে আসছিলেন স্বর্নিভর গোষ্ঠীর মহিলারা। নিয়ম কে তোয়াক্কা না করে বিনা টেণ্ডারে সেইসব গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো খোদ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ১ ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা মাহাতো এবং তাঁর স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরশুরাম মাহাতোর নাম জড়িয়েছে। যদিও তাঁরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এলাকার বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী গত দেড় মাস ধরেই আউশগ্রামের দিগনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার যাদবগঞ্জ এবং কুমারগঞ্জ গ্রামে রাস্তার দু'ধারে এবং ক্যানেল বাঁধের উপর গাছগুলি কাটার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ১২০০ থেকে ১৩০০ গাছ কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখনও গাছ কাটা চলছে। ওই সমস্ত গাছগুলি প্রায় ২০ বছর আগে পঞ্চায়েতের তত্বাবধানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা লাগিয়েছিলেন। স্থানীয় মহিলাদলগুলিই গাছের পরিচর্যা করে আসছিলেন।
গোষ্ঠীর মহিলারা জানিয়েছেন,তাঁরা গাছ লাগানোর সময় পঞ্চায়েতের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি ছিল গাছগুলি পরিণত হলে টেণ্ডার ডেকে বিক্রি করা হবে। গাছ বিক্রির ৭৫ শতাংশ টাকা গোষ্ঠীর মহিলারা পাবেন। আর বাকি ২৫ শতাংশ পঞ্চায়েতের তহবিলে জমা হবে। কিন্তু সেই চুক্তি মানা হয়নি। গোষ্ঠীর মহিলা স্বপ্না খাঁ'র অভিযোগ গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হলেও চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্য টাকা তাঁরা পাননি। তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা মাহাতো এবং তাঁর স্বামী দিগনগর ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি পরশুরাম মাহাতোর দাবি ,’ওই গাছগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেরাই কেটে বিক্রি করেছে। পঞ্চায়েত কোন দুর্নীতি করে নি’। নিষম মেনে গাছ কাটা হয়েছে তা জানতে জেলার বন আধিকারিক সঞ্চিত শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।