Awami league leader arrested: প্রাণভয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকে অবৈধ ভাবে ভারতে আসতে সাহায্য করার ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত আওয়ামী লীগ নেতার নাম রাজু আহমেদ। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কুশরপুরে। অপর দুই ধৃত হল আসানসোলের চাঁদ পাড়ার সুদীপ দাস ওরফে বাপন এবং বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের শেখ মাজেদ রহমান ।
বর্ধমান থানার পুলিশ মফরেনারস অ্যাক্ট ১৪এ/১৪সি এবং বি.এন.এস ২৪৯ ধারায় মামলা রুজু করে তিন ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে। বিচারক শর্তাধীনে মাজেদ রহমানকে জামিন দিলেও রাজু আহমেদ ও সুদীপ দাসকে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, ধৃত রাজু আহমেদ প্রায় ১০ দিন ধরে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর মালির বাগান এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া ছিল। নিজের পরিচয় গোপন করে রেখে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সুদীপ দাস রাজু আহমেদকে অবৈধভাবে ভারতে আসতে মিডলম্যানের কাজ করেছিল। এবং শেখ মাজেদ তার অবৈধ পরিচয় যেনেও তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। ধৃত রাজু আহমেদ এদিন জানান,বাংলাদেশে তাঁকে মারধর করা হত। তাই প্রাণ ভয়ে তিনি বেনোপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে আসেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় বাজে প্রতাপপুরের মালির বাগানের একটি বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে পুলিশ বাংলাদেশী রাজু আজমেদকে গ্রেফতার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এও জানান,রাজু আহমেদ বৈধ ভিসা,পাসপোর্ট বা অন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে আরো জানা গেছে সুদীপ কুমার দাস ওরফে বাপন তাকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছিলেন এবং শেখ মাজেদ রহমান তার অবৈধ পরিচয় জেনেও তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।