Advertisment

অয়ন ফাঁসতেই প্রশ্নের মুখে কোটি টাকায় কেনা ছেলে অভিষেকের পেট্রোল পাম্প, আতঙ্কে কর্মীরা

ইডি-র দাবি শুধু অভিষেকই নয়, পাম্পের অংশীদার ইমন নামের আরও একজন ব্যক্তি। কে এই ইমন?

author-image
Rajit Das
New Update
ayan sil abhishek sil imon petrol pump , অয়ন ফাঁসতেই প্রশ্নের মুখে কোটি টাকায় কেনা ছেলে অভিষেকের পেট্রোল পাম্প, আতঙ্কে কর্মীরা

গুড়াপের সেই পেট্রোল পাম্প। যার অংশীদার অয়ন পুত্র অভিষেক।

নিয়োগদুর্নীতি মামলায় গারদে অয়ন শীল। একে একে প্রকাশ্যে আসছে তাঁর কোটি কোটি টাকায় কেনা স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি। নজরে অয়ন পুত্র অভিষেক শীলের নামে থাকা একটি পেট্রোল পাম্পও। হুগলির গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারেই প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমির উপর ওই পেট্রোল পাম্প অবস্থিত। নাম শুক্লা সার্ভিস স্টেশন। বৃহস্পতিবার সেখানেই পৌঁছে যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধি।

Advertisment

কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দগোপাল শুক্লা, অজয় শুক্লা এবং আশিস শুক্লার কাছ থেকে ১ কোটি টাকায় এই পেট্রোল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। অয়ন পুত্র অভিষেকের নামে রয়েছে পাম্পটি। ইডি-র দাবি শুধু অভিষেকই নয়, পাম্পের অংশীদার ইমন নামের আরও একজন ব্যক্তি। কে এই ইমন? তাঁর পরিচয় খনও স্পষ্ট নয়।

সরকারি নথি অনুযায়ী, চুঁচুড়ার বাসিন্দা হলেও শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের মালিক অভিষেক বর্তমানে দিল্লিতে থাকেন। বকলমে পাম্পটি দেখতেন তাঁর বাবা অয়ন শীলই। দুর্নীতির দায়ে ইডি-র হেফাজতে অয়ন শীল। এখন কী অবস্থা ওই পাম্পের? ওই পাম্পের কর্মচারী স্বরূপ বৈরাগ্য বলেন, 'পাম্প অভিষেক শীলের নামে হলেও এটা চালান অয়ন শীল। ২০২০ সালে এই পাম্প চালু হয়। তখন থেকে মাত্র তিন-চারবার অয়ন শীল পাম্পে এসেছিলেন। হঠাৎ হঠাৎই উনি আসতেন পাঁচ-সাত মিনিটের জন্য।'

তাহলে লাভের টাকা অয়নের কাছে রোজ পৌঁছাত কীভাবে? পাম্পের আরেক কর্মী বাপ্পা দাসের কথায়, 'পাম্পের নামে ব্যাঙ্কেঅ্যাকাউন্ট আছে। ডিজিটাল লেনদেন বা ক্যাশ ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যেই অয়ন শীলের কাছে চলে যেত। আর ভারত প্রেট্রোলিয়ামের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক থেকে কাটা হয়ে যেত।'

অয়ল শীল জেলে। কিন্তু মজুত করা তেলেই পাম্প চলছে। সেই তেল ফুরোলেই কী হবে তা ভেবেই এখন আতঙ্কে শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই অয়নের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে ইডি। তার মধ্যে পেট্রোল পাম্পের অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিনা তা জানতেই এখন কৌতুহল। ওই পাম্পের কর্মী বাপ্পা বলেন, 'কাজ চলে গেলে তো সবারই অসুবিধা। কী হবে তা ভেবে চিন্তা হচ্ছে।'

ayan sil Hooghly WB SSC Scam burdwan
Advertisment