রাজ্যে মাধ্যমিকের টেষ্ট পেপারে 'আজাদ কাশ্মীর' লেখা ঘিরে চূড়ান্ত বিতর্ক। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়েই বিরাট হইচই পড়ে গিয়েছে। 'আজাদ কাশ্মীর'-এর মতো একটি বিতর্কিত শব্দ কেন টেস্ট পেপারের প্রশ্নে লেখা থাকবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ টুইটে টেস্ট পেপারের সেই পাতাটির ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক', টুইটে বেনজির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পেপার সল্ভ করা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ থাকে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একত্রিত করে টেস্ট পেপার তৈরি করা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগে টেস্ট পেপার সল্ভ করাকে অত্যন্ত অপরিহার্য একটি অনুশীলন বলেই মনে করা হয়। এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে টেস্ট পেপার ঘিরে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত বিতর্ক।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ওই টেস্ট পেপারটি ছাপিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেই টেস্ট পেপারের ১৩২ নম্বর পাতায় ম্যাপ পয়েন্টিংয়ের একটি প্রশ্নে 'আজাদ কাশ্মীর' বলে একটি শব্দ লেখা রয়েছে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। মধ্যশিক্ষ পর্ষদের ভূমিকা নিয়েই বিরাট প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কীভাবে প্রশ্নপত্রে মারাত্মক এই ভুল সবার চোখ এড়িয়ে গেল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারের এই ভুল নিয়ে রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকারকে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
আরও পড়ুন- ধনকড় ক্লোজড চ্যাপ্টার, রাজভবনে শুধুই ‘আনন্দ’, সমন্বয় বার্তায় বোঝালেন ব্রাত্য
টুইটে এদিন দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক। ২০২৩-এর মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের ১৩২ নম্বর পাতায় ইতিহাসের প্রশ্নপত্রের চিহ্নিত অংশটি দেখুন। ছাত্রদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশটিকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। এই রাজ্য সরকার শুধু জঙ্গিদেরই মদত দিচ্ছে না, তরুণ ছাত্রদের মধ্যে ভারতবিরোধী মানসিকতা তৈরিরও চেষ্টা করছে। তৃণমূল মানেই দুর্নীতি, মিথ্যা এবং সন্ত্রাস।'