যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভের উপর হামলার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুলকে নিগ্রহে অভিযুক্ত ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বর্ধমানে দেবাঞ্জনের উপর কয়েকজন দুষ্কৃতী চড়াও হয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা এবিভিপি সমর্থক বলে দাবি করেছেন দেবাঞ্জন। এ ঘটনায় বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পড়ুয়া।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার জন্য বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরতে এসেছিলেন দেবাঞ্জন। তাঁর অভিযোগ, সে সময়ই কয়েকজন যুবক তাঁর উপর হামলা চালায়। অভিযুক্তরা এবিভিপি সমর্থক বলে দাবি করেন দেবাঞ্জন। যদিও ধৃতরা এবিভিপি-র কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘পুজোতে শোভনদার সঙ্গে এজন্যই মন কষাকষি হয়’
হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সংস্কৃত কলেজের ভাষা বিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে একা পেয়ে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। একজনকে চিনতে পেরেছি। শ্যামল বলে একজন বিজেপি নেতা ছিলেন। উনি আবার হুমকিও দিয়েছেন, বলেছেন, বেশ করেছে মেরেছে। কলকাতায় যাওয়ার জন্য সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটের বাসে উঠতে গিয়েছিলাম। একজন হঠাৎ করে এসে বলেন, আমার থেকে নাকি তিনি টাকা পান। অথচ তাঁকে চিনিই না। মিথ্যা অপবাদে মারধর করা হয়। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় আমরা মধ্যরাতে কলকাতায় ফিরি’’।
আরও পড়ুন: ‘বাবুল ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন, আমায় গণপিটুনি দিয়ে মারার চেষ্টা চলছে’
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়ের চুলের মুঠি ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে সংস্কৃত কলেজের ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভের বিরুদ্ধে। ক’দিন আগেই এক ভিডিও বার্তায় ছেলের এহেন ‘কাজে’র জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন দেবাঞ্জনের মা। ‘মাসিমা চিন্তা করবেন না’, এ ভাষাতেই ক্ষমাও করে দিয়েছিলেন বলে টুইট করে জানিয়েছিলেন স্বয়ং বাবুল। কিন্তু বাবুলকে নিগ্রহে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন যে ক্ষমাপ্রার্থী নন, তা নিজে মুখেই সে কথা স্পষ্ট করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে ওই ছাত্রর সাফ কথা, ‘‘আমি কোনও ভুল করিনি’’। একইসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে দেবাঞ্জনের অভিযোগ, ‘‘উনিই আক্রমণ করেছিলেন, গালিগালাজ দিয়েছেন। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছি মাত্র’’।
Read the full story in English