Advertisment

শোভনের সঙ্গে এখন সুখীগৃহকোণ, তার আগে প্রাক্তনীকে ছাড়তে তুকতাকেও রাজি ছিলেন বৈশাখী

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দারুণ রসায়নের কারণ জানাতে গিয়েই নিজের জ্যোতিষ চর্চায় আস্থার কথা তুলে ধরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
baisakhi banerjee also had faith in astrologers solution to get close to sovan chatterjee , শোভন চ্যাটার্জীকে কাছে পেতে জ্যোতিষির সমাধানেও আস্থা ছিল বৈশাখী ব্যানার্জীর

প্রেমে ডগমগ শোভন-বৈশাখী।

এখনও শোভন-বৈশাখীর প্রেম চর্চায়। উভয়ের সুখীগৃহকোণ। তার মাঝেই অতীতের স্মৃতিচারণায় ডুব দিলেন শোভন-'বান্ধবী'। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দারুণ রসায়নের কারণ জানাতে গিয়েই নিজের জ্যোতিষ চর্চায় আস্থার কথা তুলে ধরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisment

মনজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বৈশাখীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন স্বামীকে বশে রাখতেও কী তাবিজ-কবজে ভরসা করেছিলেন বৈশাখী? সেই সূত্রেই অকপট শোভন-'বান্ধবী'। বললেন, 'আমায় আমার এক কলিগ একবার গব্বর সিংয়ের বেল্টের মতো লম্বা তাবিজ দিয়েছিল। ওতে বুলেটের জায়গায় ১৮টা শিকড় ছিল। ওটা পরলেই নাকি মনোজিৎ আর আমার সমস্যা মিটে যেত। ও আমার বশে চলে আসত।' তিনি একই সঙ্গে জানান, 'আমার হাতে ওটা দেখে মনোজিৎ আদ্যিকালের ধ্যান ধারণা বলে মন্তব্য করে। কিন্তু আমি তখন ওকে বলি, তাহলেই ভাবো তুমি কেমন ভাবমূর্তি বানিয়ে রেখেছ যে তোমার এই পাশবিক রূপ দেখে লোকজন আমায় এসব দিচ্ছে।'

আরও পড়ুন- ‘মহুলের জীবনেও যেন একটা শোভন আসে’, মেয়ের সহবাসে আপত্তি করবেন না বৈশাখী

এর কিছুদিন পরেই মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁর আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা হয় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, 'আমি একবার শোভনকে বলেছিলাম যে এসব পুরুষের জন্য আমার কবজ তাবিজ লাগে না। আমার মতো মেয়েরা একাই থাকতে পারে। বরং এঁদের দূরে রাখার জন্য যদি কোনও পাথর থাকে সেটা নিজের চারপাশে বিছিয়ে নেব।'

দুঃখ ভুলে বৈশাখীর জীবনে এখন শোভন রয়েছেন আলো করে। সামনেই পুজো। তাঁকে উপহারের ডালি সাজিয়ে দিয়েছেন প্রাণের 'বন্ধু'। সে কথা বলতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় হাসতে হাসতে বলেন, 'শোভন তো আমায় একটা নতুন জীবন উপহার দিয়েছে, নতুন করে আর কি শাড়ি বাছতে যাব। আমার না পুজোর বাজার হয় না, সারাবছর যেগুলো পাই তার থেকেই সেরা শাড়িগুলো তুলে রাখি, আর সবই তো শোভনের দেওয়া তাই আলাদা করে কোনটা বলব। যেটা নিয়ম করে করি সেটা হল ষষ্ঠী বা অষ্টমীতে মায়ের দেওয়া শাড়ি পরি আর বাকি দিনগুলোতে শোভনের দেওয়া বা প্রিয় বান্ধবীদের দেওয়া শাড়ি পরি। তবে ইচ্ছে রয়েছে মাইসোর থেকে শোভনের পছন্দ করা একটা শাড়ি কিনেছিলাম, সেই শাড়িটা নবমীর দিন পরব। ওটা আমার সবচেয়ে প্রিয় শাড়ি।'

Baisakhi Banerjee Sovon-Baisakhi Sovan Chatterjee
Advertisment