২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৮ নভেম্বরে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। এবার আয়োজক বিজেপি নয়, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামী অক্টোবরে এ রাজ্যে রথযাত্রার আয়োজন করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরঙ্গ দল। ২০১৮-তে শেষমেশ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল বিজেপির রথযাত্রা। রাজ্য প্রশাসন প্রবল বিরোধিতা করেছিল আদালতে। কোচবিহারে রথযাত্রা কর্মসূচি বাতিল হয়েছিল।
সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হিন্দু সংগঠনের রথযাত্রা। সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও হবে রথযাত্রা। বজরঙ্গ দলই এই রথযাত্রার মূল উদ্যোক্তা। স্বভাবতই নানা প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। আয়োজক বজরঙ্গ দলের দক্ষিণবঙ্গের সহ সংযোজক সুমন কর্মকার বলেন, 'আমাদের কর্মসূচি নিয়ে কেউ লাভ করতে চায় তাতে আমাদের অসুবিধা নেই। সে বিজেপি হোক বা তৃণমূলই হোক। বিজেপি হিন্দুত্বের কথা বলে ঠিকই আমরা তৃণমূলকে হিন্দুত্বের কথা বলতে বারন করিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি হিন্দুত্বের কথা বলে তাহলে আমরা তো খুশি হব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকব। কিন্তু ওনার কি সেই ক্ষমতা আছে?'
আরও পড়ুন- অভিষেককে ইডির ডাক, ‘ব্যুমেরাং হবে’, হুঁশিয়ারি মমতার
সারা দেশের সঙ্গে এখানেও ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সৌর্য জাগরণ যাত্রা। ৮ অক্টোবর রানি রাসমণিতে হবে বড় সমাবেশ। মূলত দক্ষিণবঙ্গে চার জায়গা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় এই রথ ঘুরবে। সুমন কর্মকার বলেন, 'সারা ভারত জুড়ে হচ্ছে সৌর্য জাগরণ যাত্রা। মানুষের মধ্যে হিন্দুত্ব জাগরন জাগাতেই যাত্রা। রথে হিন্দুত্বের কথা থাকবে। রাম, হনুমান, কৃষ্ণ, দুর্গা, চৈতন্য মনহাপ্রভু, লোকনাথবাবা, মনসা ঠাকুর থাকবে। যার যা পছন্দ। মানুষকে জাগাতে হবে। পাঁচবছর অন্তর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে জাগরণ কর্মসূচি থাকে।'
এর আগে বাংলায় বজরঙ্গ দল রথযাত্রা করেনি। পশ্চিমবঙ্গে বজরঙ্গ দলের ৫ লক্ষ সক্রিয় কর্মী। রথযাত্রা শান্তিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন সুমন। তবে বাধা এলে দেখা যাবে, বলেন বজরঙ্গ দলের কো-কনভেনর। ২০১৮-তে কোচবিহারে বিজেপির রথযাত্রার সূচনার অনুমতি ছিল না। সুমন কর্মকার বলেন, 'এটা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়, ভিএইচপি বা বজরঙ্গ দলের। হিন্দুত্বের ঐতিহ্য ভুলে না যায় তার জন্যই এই রথযাত্রা। ট্যাবলো হতে পারে, যে যেমন ভাবে সাজাতে পারবে।'