Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে চরম অস্বস্তি। যে মতুয়া ভোটে ভর করে বাংলার একাধিক অসনে জয়ের স্বপ্নে বিভোর গেরুয়া বাহিনী, সেই সম্প্রদায়ের সাংসদকে বেনজির আক্রমণ করেছেন বিধায়ক! বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে 'মদখোর', 'গাঁজাখোর' বলে তোপ দেগেছেন পদ্ম শিবিরেরে বিধায়ক অসীম সরকার। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে ভোট না দেওয়ার জন্য কর্মীদের বলেছেন অসীম। ভোটের মুখে ভাইরাল একটি অডিও ক্লিপ। সেখানেই বিজেপির সাংসদকে নিশানা করেছেন বিধায়ক। তবে, গোটাটাই 'তৃণমূলের চক্রান্ত' বলে সাফাই দিয়েছেন গেরুয়া দলের হরিনঘাটার বিধায়ক।
ভাইরাল অডিও ক্লিপে হরিনঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর আসলে গাঁজাখোর। বাগদা, হেলেঞ্চা এলাকায় আমার অনেক অনুগামী আছে। তাঁদের আমি বলে দিয়েছি, শান্তনুকে কেউ ভোট দিবি না। ও হচ্ছে একেবারে (ছাপার অযোগ্য শব্দ)…। মদখোর, গাঁজাখোর। ওর বাবা এখনও গাঁজা ছাড়া বাঁচে না।'
বিজেপির অন্দরে রটনা, সাংসদ, বিধায়ক উভয়ই মতুয়া সম্প্রদায়ের হলেও তাঁদের মধ্যে বনিবনা নেই। যা জোড়াল করেছে উদ্বাস্তু সেলের ব্যানারে শান্তনুকে বাদ রেখেই ২০২৩ সালে পুজোর আগে বিধায়ক অসীম সরকারের নেতৃত্বে মিটিং। সে সমীকরণেই কী তাহলে লোকসভা ভোটের আগে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে হারাতে মরিয়া অসীম? তাই এই বেনজির আক্রমণ?
আরও পড়ুন- CAA: আশা-ভরসা চুরমার, সিএএ-তে জীবন আরও জটিল! হায়-হায় করছেন অসমের বরাকের হিন্দু বাঙালিরা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ফোনে এই ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধায়ক অসীম সরকার। বলেছেন, 'এসব তৃণমূলের চক্রান্ত ছাড়া অন্য কিছু নয়। ২০১৯ সালে এটা করেছিল ওরা (তৃণমূল)। সেটাই আবার পাঁচ বছর পর ভোটের সময় বাজাচ্ছে। ওরা (তৃণমূল) আসলে শান্তনু ঠাকুরকে ভয় পায়। এইসব দিয়ে কী কাজ হয়? জেতা যায় নাকি? আমি আর শান্তনু একই পরিবারের মানুষ।' অসীমবাবুর দাবি, যে এই কাজ করেছিল সে ভুলও স্বীকার করে নিয়েছেন।
সাংসদ তথা বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী এ নিয়ে মুখ খুললেও দাবি করেছেন যে, 'আমি ভাইরাল অডিও ক্লিপ শুনিনি। তাই কিছ বলতে পারব না।'
দলের সাংসদ, বিধায়কের ভাইরাল অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে করিমপুরে বিরোধী দলনেতা শুবেন্দু অদিকারী বলেন, 'এসব আগেও প্রচার করা হয়েছিল। অসীম সরকারই তো যা বলার বলে দিয়েছেন। যা হয়েছে উনিশ সালের আগে। এখন ওরা ভয় পাচ্ছে। তাই আই-প্যাকের লোকেদের দিয়ে এইসব ভাইরাল করাচ্ছে। লাভ নেই। শান্তনু বনগাঁ থেকে ২.২০ লাখ ও জগন্নাথ সরকার রানাঘাট থেকে ৪ লাখের বেশি ব্যবধানে জিতবেন।'
অসীমের চক্রান্তের তত্ত্ব সত্ত্বেও প্রশ্ন যে, বনগাঁয় বিজেপির রাজনীতিতে কী তাহলে চোরা স্রোত রয়েছে? হরিনঘাটা বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত। ফলে ভোটের ফলেই সব উত্তর মিলবে।