এরাজ্যে আগেই অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়ালের সিনেমা বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলা পক্ষ। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক থানায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে তাঁর মন্তব্যের জন্য এফআইআর করেছে বাংলা পক্ষ। এবার পরেশ রাওয়ালের বাড়ির ঠিকানায় পার্সেল করে মাছ পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, 'আগামীকাল বাঙালির প্রিয় কয়েকটি মাছ পরেশ রাওয়ালের বাড়ির ঠিকানায় পার্সেল করে দেওয়া হবে।'
গত সপ্তাহে গুজরাটের ভালসাদে গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। জনসভায় বক্তব্য় রাখতে গিয়ে বাঙালি প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। ওই জনসভায় তিনি গ্য়াসের সিলিন্ডার ও মূল্য়বৃদ্ধি প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, 'রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশিরা আপনাদের পাশেই বসবাস করলে কি মেনে নেবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?' গুজরাটের জনসভায় মুম্বাইয়ের এই জনপ্রিয় অভিনেতার মন্তব্যের পর চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। পরে অবশ্য টুইটে ক্ষমা চেয়ে নেন পরেশ রাওয়াল। তিনি টুইটে লেখেন, বাঙালি বলতে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের বোঝাতে চেয়েছেন। তাতে অবশ্য় চিঁড়ে ভেজেনি।
পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে বাংলা। এরই মধ্য়ে তালতলা থানায় সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের এফআইআর-এর ভিত্তিতে পরেশ রাওয়ালকে তলব করেছে পুলিশ। পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যে বাঙালি বিদ্বেষী ও উস্কানি রয়েছে বলে মনে করেন সেলিম। এদিকে রাজ্যের আরও একাধিক থানায় পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলে বাংলা পক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন ‘বাঙালি বিদ্বেষী’ মন্তব্যের জের, পরেশ রাওয়ালকে তলব করল কলকাতা পুলিশ
সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আমরা বাংলার নানা প্রান্তে মাছ-ভাত খাইয়ে পরেশ রাওয়ালের বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছি। এবার বাংলার মাছ পার্সেল করে তাঁর ঠিকানায় পাঠাব। ওই পার্সেলে পারসে, পাবদা, রুই মাছ তো থাকবেই তার সঙ্গে থাকবে স্পেশাল শুঁটকি মাছ। ওঁদের বাড়ির লোকজনের যেন দু-তিন দিন চলে যায়।' বাংলা পক্ষের হুঙ্কার, পরেশ রাওয়ালের কোনও সিনেমা রিলিজ করলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। হলের সামনে বাংলা পক্ষের ৫০ জন দাঁড়িয়ে থাকবে।'