দেশেই মিলেছিল বাংলাদেশি তকমা, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি সহ ৫ জনকে ভারতে ফেরানোর বড় নির্দেশ বাংলাদেশে আদালতের

কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার বাংলাদেশের আদালত, পুশব্যাকের অভিযোগে বাংলাদেশের জেলে বন্দি বীরভূমের পাইকরের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন সহ ৫ জনকে ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্যে ভারতীয় হাইকমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বলল বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিজেএম কোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার বাংলাদেশের আদালত, পুশব্যাকের অভিযোগে বাংলাদেশের জেলে বন্দি বীরভূমের পাইকরের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন সহ ৫ জনকে ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্যে ভারতীয় হাইকমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বলল বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিজেএম কোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bangladesh-court-indian-pregnant-woman-delhi-dhaka-indian-embassy

অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে দেশে ফেরানোর বড় নির্দেশ বাংলাদেশের আদালতের

অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে দেশে ফেরানোর বড় নির্দেশ বাংলাদেশের আদালতের। কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার বাংলাদেশের আদালত, পুশব্যাকের অভিযোগে বাংলাদেশের জেলে বন্দি বীরভূমের পাইকরের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন সহ ৫ জনকে ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্যে ভারতীয় হাইকমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বলল বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিজেএম কোর্ট। 

Advertisment

প্রায় চার মাস পর অবশেষে বাংলাদেশ আদালত ঘোষণা করল—ভারত থেকে বিতাড়িত বীরভূম ২ পরিবারের ছয় সদস্যই ভারতীয় নাগরিক। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন যেন দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে। এই রায়ে স্বস্তি ফিরেছে দুই পরিবারেই।

আরও পড়ুন- হুহু করে কমল সোনার দাম, দোকানে ক্রেতাদের ভিড়, জানুন আপনার শহরের সর্বশেষ দর

Advertisment

বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদেশে বলেন, “সোনালী খাতুন ও সুইটি বিবির পরিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বাসিন্দা। তাঁদের সকলেরই আধার কার্ড ও স্থায়ী ভারতীয় ঠিকানা রয়েছে।” আদালত আরও জানায়, যেহেতু এই ছয়জনের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা  মহিলা এবং সেই সঙ্গে শিশুরাও রয়েছে, তাই স্থানীয় প্রশাসন যেন বিষয়টি ভারতীয় হাইকমিশনকে জানায় এবং তাদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়"। রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “সমস্ত অভিযুক্তরাই  ভারতের নাগরিক। সুতরাং আইনগতভাবে তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানোই সঠিক পদক্ষেপ।”

উল্লেখ্য এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে জানিয়েছিল, সোনালী খাতুন, সুইটি বিবি এবং অন্যদের বাংলাদেশে পাঠানো "অবৈধ" ছিল। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের বেঞ্চ রায়ে নির্দেশ দেন, তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফেরাতে হবে। 

আরও পড়ুন- রাজ্যে আবারও ধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়া, ক্যাম্পাসের পাশেই পাশবিক অত্যাচার

বাংলাদেশ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ মাইগ্রান্ট লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যসভা সদস্য সমীরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “যাদের আমাদের দেশই বাংলাদেশি বলে তকমা দিতে চেয়েছিল, আজ তাদের ভারতীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ আদালত। এখন সরকারের উচিত দ্রুত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।”

বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতীয় নাগরিকদের পুশব্যাক নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্থার পাশাপাশি ভিন রাজ্যে বাংলাভাষা বলার 'অপরাধে' বাংলাদেশে পুশব্যাক করার একাধিক 'অভিযোগে' বিজেপি সরকারকে কোনঠাসা করেছে তৃণমূল। এবার বাংলাদেশ আদালতের নির্দেশে বড়সড় চাপে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আদালতের এই রায়ের পর সুইটি বিবির ভাই আমির খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ এই রায়ে কিছুটা হলেও আমরা আশাবাদী। হয়তো আগামী এক মাসের মধ্যেই ওরা দেশে ফিরতে পারবে।”

আরও পড়ুন- দেশরক্ষায় সর্বোচ্চ বলিদান: কাশ্মীরে তুষারঝড়ে দুই বাঙালি সেনা শহিদ

অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও তীব্র হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এবং মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, “বাঙালি  মুসলমানদের অন্যায় ভাবে  'অবৈধ অভিবাসী' বলে চিহ্নিত করে টার্গেট করা হচ্ছে।” তাদের দাবি, এই অভিযান স্পষ্টভাবে “বাঙালি বিদ্বেষ মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন।

Birbhum Bangladeshi