Exclusive: দেশে ভোটের নাম শুনলেই কী বলছেন কলকাতায় আসা বাংলাদেশিরা? জানুন
Bangladesh Election 2024: কলকাতায় আসা বাংলাদেশিরা তাঁদের দেশের ভোট নিয়ে এমন বেশ কিছু কথা বলেছেন যা এখন জোর চর্চায়। তবে এমনও অনেকে আছেন যাঁরা কোনও মন্তব্যও করতে চাননি।
Bangladesh Election 2024: কলকাতায় আসা বাংলাদেশিরা তাঁদের দেশের ভোট নিয়ে এমন বেশ কিছু কথা বলেছেন যা এখন জোর চর্চায়। তবে এমনও অনেকে আছেন যাঁরা কোনও মন্তব্যও করতে চাননি।
নিজেদের দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে কলকাতায় আসা বাংলাদেশিদের বক্তব্য এখন জোর চর্চায়। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
Bangladesh Election 2024: কলকাতার সদর স্ট্রিট-সহ আশপাশের এলাকায় ফুটপাতে যাদের সঙ্গেই আলাপ করবেন, তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বাসিন্দা। কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভারত ভ্রমণে, কেউ সপরিবারে আবার কোনও পরিবার এসেছে চিকিৎসার জন্য। শুক্রবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেল, অনেকেই রয়েছেন হোটেল পাওয়ার অপেক্ষায়। বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন আর এই রাষ্ট্রে ভিড় বাড়ছে বাংলাদেশীদের। এঁদের অনেকেই দেশের সাধারণ নির্বাচন এড়াতে চলে এসেছেন এই দেশে বেড়াতে। কেউ আবার জানিয়ে দিলেন, মোদী যা চাইবেন সেভাবেই বাংলাদেশে সরকার গঠন হবে।
Advertisment
নিজের দেশে ভোট, তাই এদেশে ভ্রমণে এসেছেন ঢাকার জাকির হোসেন। দেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তাঁর। জাকির হোসেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'ভারত যে ধরনের সরকার চায় সেই ধরনের সরকার হয় বাংলাদেশে। আমরা কি চাইলাম না চাইলাম তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। এটা মোটেই ঠিক না। আমাদের মতামতের কোনও মূল্য নেই।' তাহলে এবাবের ভোট তো দেওয়া হবে না? জাকিরের জবাব, 'আমি তো এখানে চলে এসেছি। ভোট দেব কি! বুথে গিয়ে দেখব ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহী নই। মোদীজি থাকলে এমন হবে। বাংলাদেশে জনগণের মতামতের কোনও মূল্য নেই। এবারে হাঙ্গামা না হলেও নির্বাচন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে।'
'মূল বিরোধী দল বিএনপি তো ভোটে নেই। অন্য যে সব দল আছে তাঁরা আওয়ামী লিগের সঙ্গেই আছে।' মন্তব্য করেন খুলনা থেকে আগত এক পর্যটক। চিটাগাঁও থেকে কলকাতায় এসেছেন কয়েকজন বন্ধু। তাঁরা এখানে বেড়াতে এসেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মতামত দিলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তাঁরা ব্যাঙ্গের সুরে বলেন, 'নির্বাচন তো হয়ে গিয়েছে। তাই এখানে চলে এসেছি। বিরোধী দল তো গৃহপালিত।' তাঁদেরও বক্তব্য, 'ভারত সরকার বাংলাদেশের ভোট নিয়ন্ত্রণ করে। শুক্রবার বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে কয়েক হাজার লোক এদেশে এসেছে। সীমান্তে চেকিং করাতেই আমাদের লেগে গিয়েছে ৪-৫ ঘন্টার বেশি। সকালে বেনাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছালেও কলকাতায় আসতে বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে।' তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, 'নির্বাচনের ছুটি পেয়ে আমাদের মতো ভারতে ঘুরতে এসেছে কয়েক হাজার বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা বেশির ভাগই ভোট নিয়ে উৎসাহিত নয়।'
Advertisment
কলকাতার সদর স্ট্রিট। বাংলাদেশ থেকে এলে অনেকেই এতল্লাটেই বেশি থাকতে পছন্দ করেন। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
ঢাকা থেকে এসেছেন রাজু। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন হচ্ছে। বিরোধী দল মানেও তাঁরা সরকারি দলের প্রতিনিধি।' সেখানে জাল ভোটের অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজুর বক্তব্য, 'দেশে থেকে কী করব। বুথে গিয়ে দেখব ভোট পড়ে গিয়েছে।' অনেকেই আবার ভোট শুনে কোনও কথাই বলতে চাননি। সোজা মুখ ঘুরিয়ে হাঁটা দিয়েছেন। এনামুলদের মতো কেউ কেউ বলেছন, 'ভোট তো হয়।' চিকিৎসা করাতে এসেছেন বগুরার আবদুস সালাম। তিনি কলকাতা থেকে যাবেন বেঙ্গালুরু। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে ভোটের প্রতারণা চলছে। ৭ তারিখে নির্বাচন হবে। সমর্থন করি বা না করি সরকার যা বলবে সংসদীয় ভাবে তা হবে।'