Iskcon kolkata: 'বাংলাদেশে শ্মশানও হিন্দুদের জন্য নিরাপদ নয়’! বুক ফাটা হাহাকার ইসকনের

Iskcon kolkata: 'বাংলাদেশে শ্মশানও হিন্দুদের জন্য নিরাপদ নয়’ , পুরোহিত খুনের ঘটনায় মন্তব্য ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাসের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ, ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ ইসকনের।

Iskcon kolkata: 'বাংলাদেশে শ্মশানও হিন্দুদের জন্য নিরাপদ নয়’ , পুরোহিত খুনের ঘটনায় মন্তব্য ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাসের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ, ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ ইসকনের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Iskcon kolkata

'বাংলাদেশে শ্মশানও হিন্দুদের জন্য নিরাপদ নয়’ পুরোহিত খুনের ঘটনায় মন্তব্য ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাসের Photograph: (ফাইল)


Iskcon kolkata: 'বাংলাদেশে শ্মশানও হিন্দুদের জন্য নিরাপদ নয়’! পুরোহিত খুনের ঘটনায় মন্তব্য ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাসের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ, ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ ইসকনের। শেখ হাসিনা  সরকারের পতনের পর থেকে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর চলছে 'নিরন্তর নির্যাতন'। এবার অশান্ত বাংলাদেশে খুন হিন্দু পুরোহিত।  ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমন দাস এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও 'এক্স'-এ পোস্ট করে লিখেছেন, 'বাংলাদেশের নাটোরের কাশিমপুর  শ্মশানকালীর মন্দিরে হামলার কথা শুনে আমি অবাক। মন্দিরে একাধিক মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে এবং মন্দিরের সেবায়ত তরুণ চন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। হিন্দুরা এখন বাংলাদেশের শ্মশানেও নিরাপদ নয়'। রাধারমণ দাসের মতে, হত্যার আগে পুরোহিতকে সম্ভবত নির্যাতন করা হয়েছিল, যে কারণে তার হাত-পা বাঁধা ছিল। ইসকন কলকাতার মুখপাত্র বলেছেন, 'মৌলবাদীরা মন্দিরে লুটপাট করেছে।' পুলিশ প্রকাশ্যে মৌলবাদীদের মদত দিচ্ছে। 

Advertisment

নির্বিকার ইউনূস সরকার। হিন্দু নির্যাতনে 'পাকিস্তানকে'টেক্কা! বাংলাদেশে চরম অত্যাচারের মুখে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। পর্দা ফাঁস করল মোদী সরকার। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে উপাসনালয় থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি। এত কিছুর পরই বাংলাদেশের ইউনূস সরকার দাবি করে আসছে সেদেশে  হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো অত্যাচারের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এবার পর্দা ফাঁস করল মোদী সরকার। 

নিষ্ঠুরতায় পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ইউনূস সরকারকে বর্বরতার বি বিশ্বের সামনে ফাঁস করল বিদেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার রাজ্যসভায় জানিয়েছে যে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ২২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে পাকিস্তানে অক্টোবর পর্যন্ত এই ধরনের মামলার সংখ্যা ছিল ১১২টি। বড়দিনের আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমণ দাস। তিনি বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের  মানুষের ওপর হামলা হতে পারে। তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisment

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ক্রমাগত সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক মন্দিরে হামলা হয়েছে এবং হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এর বিরোধিতা অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। বড়দিনের আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসকনের কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস। তিনি বলেছেন, 'বড়দিনের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা হতে পারে। এমন অবস্থায় তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং সতর্কতার সাথে উৎসব পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে যাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে তাদের উত্সব উদযাপন করতে পারেন'।

লাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণের ঘটনায় মুখ খুললেন শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর থেকেই সেখানে একটা জঘন্য  পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকার কথা বলছে কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধান হবে না। সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়কে বাঁচাতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে সেদেশে মন্দির এবং জনগণকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।"এদিকে 'ডেইলি স্টার' পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । 

ISKCON Bangladesh Crisis