Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বেশিরভাগ ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অবশেষে ভুল স্বীকার করল ইউনূস সরকার।
বাংলাদেশ সরকার শনিবার একটি পুলিশ প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে ৪ আগস্ট, ২০২৪ সালের পর দেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং ভাঙচুরের বেশিরভাগ ঘটনাই সাম্প্রদায়িক নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর জারি করেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবির পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগের দিন থেকেই দেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ চলছে। হাসিনার দেশ ছাড়ার ম্পর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হিংসা ২,০১০টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, এই ঘটনার মধ্যে ১,৭৬৯ টিই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামলাগুলি সাম্প্রদায়িক প্রকৃতির ছিল না বরং সেগুলি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পুলিশি তদন্তে জানা গেছে যে ১,২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক এবং কমপক্ষে ১৬১টি ঘটনা মিথ্যা বা ভুয়ো।
পাশাপাশি রিপোর্টে বলা হয়েছে পুলিশ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সকল অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিবৃতি অনুসারে, গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১১৫টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং এই মামলায় কমপক্ষে ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।