Pak-Bangladesh nexus: বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে 'শিক্ষা' দেবে পাকিস্তান, পাক সেনার দাবি মেনে নিলেন ইউনূস? ভারত-বাংলাদেশ টানটান উত্তেজনা!
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মাত্র পাঁচ মাসও পূর্ণ হয়নি। এর মধ্যেই পাক সেনারা ধীরে ধীরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। যেটা ভারতের কাছে নিরাপত্তাজনিত এক বড় উদ্বেগ। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সখ্যতার মাঝেই সামনে এসেছে এক বিরাট আপডেট। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানি সেনার শীর্ষ আধিকারিক।
১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হয় পাকিস্তানি বাহিনী। ৫৩ বছর পর আবারও বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করেছে পাক সেনারা। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টের দাবি অনুসারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিক শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা বাংলাদেশের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এই প্রস্তাবে তিনি নিজেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস স্কুল, ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
জেনারেল মির্জা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টাফ কলেজে তরুণ অফিসারদের উদ্দেশ্যে অতিথি বক্তা হিসেবে ভাষণ দিতে চান। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সফর সংক্রান্ত এক দফা আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়েছে। তবে কবে পাকিস্তানি সেনার শীর্ষ কর্তা বাংলাদেশ সফল করবেন সেই তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
শেখ হাসিনার বিদায় ও ইউনূসের ক্ষমতা দখলের পর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আবারও একে অপরের কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা ২০২২ সালে পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুরকে চট্টগ্রামে ডক করতে দেননি। এখন বঙ্গোপসাগরে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিবেদন অনুসারে হয়েছে, করাচিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নৌ মহড়া ‘আমান ২০২৫’-এ বাংলাদেশও অংশ নিতে পারে। দু'দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল অশোক কুমার (আর) বলেছেন, 'পাকিস্তানের প্রতি বর্তমান সরকার বন্ধুত্বের হাত দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের কূটনীতিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এটি ভারতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে আবারও নিজেদের অস্তিত্ব কায়েম করতে চলেছে পাকিস্তান। প্রথমে পাকিস্তানি জামাত শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে। এখন পাকিস্তান আবার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে। পাঁচ বছর ধরে বন্ধ থাকা ইসলামাবাদ থেকে ঢাকা সরাসরি বিমান এখন আবার চালু করার ঘোষণা করেছে ইউনূস সরকার।
পাকিস্তানের জন্য ভিসা শিথিল করার ঘোষণাও করা হয়েছে। এর পেছনে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল অশোক কুমার বলেন, 'আগে আইএসআই বাংলাদেশে গোপনে তাদের কার্যক্রম চালাত। এখন বর্তমান সরকারের আমলে প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড চলবে। পাকিস্তান থেকে মালবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাচ্ছে। পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য পরিদর্শন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ইউনূস সরকার।