Yunus Government: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও ভোটাধিকারের সুপারিশ করেছে। ইউনূসের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল। মহম্মদ ইউনূস সরকারের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও ভোটাধিকারের সুপারিশ করেছেন। এই প্রস্তাব গৃহীত হলে বাংলাদেশের অপ্রাপ্তবয়স্করা অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সীরাও ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন। তবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের ন্যূনতম ভোটের বয়স কমিয়ে ১৭ বছর করার সুপারিশের সমালোচনা করেছে।
বিএনপি বলেছে, এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ পড়বে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। ইউনূস (৮৪), যিনি আগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নিযুক্ত হন, শুক্রবার ন্যূনতম ভোটের বয়স কমিয়ে ১৭ বছর করার সুপারিশ করেছিলেন, ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে। ভিডিও বার্তায় ইউনূস বলেছিলেন, “আমি মনে করি ভোট দেওয়ার বয়স ন্যূনতম ১৭ বছর করা উচিত যাতে (তরুণরা) তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মতামত দিতে পারে।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভোটের বয়স ১৭ বছর করার পরামর্শ মানে নতুন ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, "তাতে আরও বেশি সময় নষ্ট হবে এবং আরও বিলম্ব হবে (নির্বাচন প্রক্রিয়ায়)।" আলমগীর বলেন, জনগণের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। আলোচনা না করে প্রধান উপদেষ্টার বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত হয়নি"।
আলমগীর বলেন, সরকারের উচিত ছিল বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেওয়া, যাতে তারা যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ভোট দেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। বিএনপি নেতা বলেন, ‘যদি এক বছর কমাতে চান, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করুক ইউনূস।