Sheikh Hasina: হাসিনাকে দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ায় সমস্যা বাড়বে ভারতের? 'রেড কর্ণার নোটিস' জারির আবেদন বাংলাদেশের

Bangladesh Requests Interpol Red Corner Notice Against Sheikh Hasina: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ জারির অনুরোধ জানিয়েছে।

শনিবার দ্য ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এই অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে সকলেই 'পলাতক'। ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেন। সেই সময় দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলন ও একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে, যার ফলে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। আন্দোলনের চাপেই শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে রয়েছেন।

গাড়ি থেকে নামতেই গুলিতে ঝাঁঝরা, খুন করণি সেনার জাতীয় সহ-সভাপতি, তুমুল চাঞ্চল্য

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মহম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর, ICT হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর নভেম্বরে ICT প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠানো হয়, যাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের সহযোগিতা পাওয়া যায়।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও, ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয়। ভারতকে প্রথমে দেখতে হবে যে অভিযোগগুলি রাজনৈতিক প্রকৃতির কিনা। যদি ভারত মনে করে যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আনা হয়েছে, তাহলে ভারত বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ভারত মনে করে যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তাহলে ভারত বাংলাদেশের  প্রত্যর্পণের অনুরোধ  প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ফলে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হলেও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি সহজ হবে না।

চাল-কাঁকর আলাদা হবে আজই? বিকেলেই যোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারে SSC

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানায়, তারা ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, এবং প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইবে। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলেও নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।