Fake Voter Issue: ভোটার তালিকায় বাংলাদেশির নাম নিয়ে অভিযোগে তোলপাড় কাকদ্বীপেই। সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে এমনিতেই শোরগোল পড়েছে এই অঞ্চলে। এবার ভোটার তালিকায় নাম থাকা এক ব্যক্তিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জোরলো বিতর্ক।
অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের গণ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। অথচ কাকদ্বীপের ভোটার। এখানে ভোটও দিয়েছেন। নিউটন দাস নামে ওই ভোটারের বাংলাদেশে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। নিউটন কীভাবে দুই দেশের ভোটার হলেন? তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। যদিও নিউটনের দাদা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর ভাই এখানে থাকেন না। তবে উল্টো কথা বলছেন খোদ নিউটন নিজে। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। কে ঠিক কী ভুল বা এর পিছনে কী রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে কাকদ্বীপ জুড়ে। বিরোধীরাও এই ইস্যুকে সামনে রেখে শাসকদলকে চেপে ধরতে চাইছে।
জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা অনুযায়ী নিউটন কাকদ্বীপের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা। এপার বাংলায় সর্বপ্রথম পা দিয়েছিলেন তাঁর দাদা তপন দাস। ২০১১ সালে বাংলায় এসে ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, পরবর্তীকালে দাদার পিছু পিছু বাংলায় আসেন নিউটন। কাকদ্বীপেরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছে ওই যুবক। কিন্তু পরে আবার বাংলাদেশ চলে যান।
বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে নিউটনের ছবি ভাইরাল হতেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। তারা ওই যুবকের নাম কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় খুঁজে বের করে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। প্রশ্ন হল, যদি নিউটন বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে এখানে কীভাবে নাম তুললেন? বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। ওই যুবকের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে বলে অভিযোগ। এই যুবকের সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি দেখা গিয়েছে।
তবে বহুদিন ভাইয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন দাদা। নিউটন যে বাংলাদেশে থাকে সে কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। এদিকে তাঁকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে ওই ভিডিও বার্তায় নিউটন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমি কাকদ্বীপের ভোটার। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে এসেছিলাম। সেখানে গণআন্দোলনে আটকে পড়েছি।