Meghalaya honeymoon murder: মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের দায়ে গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও পরিবারের কাছে ফোন করে কান্নাকাটি করেছিলেন সোনম। তাঁর বাবা দেবী সিং ইন্দোর থেকে জানিয়েছেন,“আমাদের দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়েটা হয়। ওরা নিজেরাই কথা বলে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না—আমার মেয়ে এমন কিছু করতে পারে। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।” সোনমের খুড়তুতো ভাই গোবিন্দ জানিয়েছেন, ফোন করে প্রথম সোনম তাকে বলেছিল, "ভাইয়া, মুঝে বাঁচা লো।”এদিকে রাজা রঘুবংশীর দাদা বিপিন রঘুবংশী জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না সোনম নিজে একথা স্বীকার করছে, ততক্ষণ আমরা এই অভিযোগকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না।” তিনি আরও জানান, “এটা পুরোপুরি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হলেও ওরা খুশি ছিল। সোনম বিয়ের শপিংয়ে আমার মায়ের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে করেছিল। শিলং যাওয়ার পরিকল্পনাও ওদের নিজেদের ছিল, ওদের ওপর কোন কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।”
এদিকে রাজার মা উমা রঘুবংশী বলেন, “বিয়ের পর চার দিন আমাদের সঙ্গে ছিল সোনম। ও-ই রাজাকে বলেছিল শিলং নিয়ে যেতে। টিকিটও বুক করিয়েছিল। আমরা কখনও আগে শিলং যায় নি। তবে সোনমের পরিবার আগেও সেখানে গিয়েছিল।”
তিনি আরও জানান, “বিয়ের পর সোনম উপরের তলায় থাকত, নিচে এসে খেত। বেশি কথা বলত না। তবে সে খুব ভালো মেয়ে ছিল। আমাকে মা বলে ডাকত, জড়িয়ে ধরত। ভাবতেই পারছি না যে এমন কিছু ঘটতে পারে।”
গত মাসেই বিয়ে করেছিলেন সোনম ও রাজা। হানিমুনে গিয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান দু’জনে। ফোনে যোগাযোগ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। এরপর রাজ্য পুলিশ, SDRF, NDRF ও ড্রোনের মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। শেষমেশ গত সোমবার উদ্ধার হয় রাজার দেহ। সোনম তখনও নিখোঁজ ছিলেন। পরে উত্তরপ্রদেশের একটি ধাবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘিরে ক্রমশ জটিল হচ্ছে তদন্ত। ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর রহস্যমৃত্যু এবার আর শুধুই দুর্ঘটনা নয়, বরং তা ছিল এক সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড — এমনটাই দাবি করছে পুলিশ। সোনম রঘুবংশী, যিনি রাজার স্ত্রী, তাকেই এই খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারিণী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে রয়েছে সোনমের কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাও