/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/20240806133404_1Q2A4059-2.jpg)
বাঁদিকে প্রথমে রাধারানী দেবী। বছর ষাটেকের এই প্রৌঢ়া বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা। পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন। এক্সপ্রেস ফটো: পার্থ পাল।
Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে সীমাহীন অশান্তি আজও জারি। দিকে দিকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাটের খবর মিলছে। ঠিক এই আবহে একরাশ আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন এদেশে আসা সে দেশের নাগরিকরা। তাঁদেরই কয়েকজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। ভয়, উদ্বেগকে সঙ্গী করেই তাঁরা যা বললেন, বিশদে তা তুলে ধরা হল বিশেষ এই প্রতিবেদনে।
পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আজ বাংলাদেশের ঝিনাইদহের বাড়িতে ফিরছিলেন বছর ষাটেকের রাধারানী দেবী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, "আমি তো শুনেছি ওখানে মন্দির ভাঙা হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে হামলা হয়েছে। দোকানে লুঠপাট চলেছে। পুরসভার চেয়ারম্যানকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি প্রচণ্ড ভয়ে আছি। জানি না গেলে কী হবে! কিন্তু যেতে তো হবেই।"
রাধারানী দেবীর পিছনে ছিলেন বরিশালের পরিমল চন্দ্র ঘোষ। বছর ৬৫-এর পরিমলবাবুও যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন। তাঁর কথায়, "ভিসা শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে ফিরতেই হবে। আমিও প্রচণ্ড টেনশনে আছি। জানি না ভাগ্যে কী লেখা আছে! বাড়ি তো যেতেই হবে। দেখে কী হয়!"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/20240806132845_1Q2A4047-1.jpg)
ঝিনাইদহের বাসিন্দা রাসেল মণ্ডল আবার বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছেন মেঘালয়ে। বছর একুশে রাসেল কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন মেঘালয়ের একটি কলেজে। এমনিতে বাংলাদেশে থেকে মেঘালয় যেতে গেলে সরাসরি মেঘালয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়েই পারাপার করতেন তিনি। তবে এখন বাংলাদেশে যান চলাচল ভীষণভাবে ব্যাহত। রাসেল এবার মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে নয়, বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে গুয়াহাটি হয়ে তারপর তিনি যাবেন মেঘালয়ে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/20240806141657_1Q2A4121-1.jpg)
রাসেল বললেন, "আমাদের ওখানে দোকানে লুঠপাট চলেছে। দোকান থেকে সব মালপত্র বার করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আওয়ামি লিগ দেখলে তো অত্যাচার আরও বেড়েছে। জেলা সদরের ৯ নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওরফে হিরণের বাড়িতে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে চেয়ারম্যান-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/Bongaon-3.jpg)
একইভাবে এদিন বনগাঁ সীমান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নূর হক, মোঃ সরিফুল ইসলামরাও ওপার বাংলার গন্ডগোলের বিশদে বর্ণনা দিয়েছেন। মাকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন অপূর্ব দত্ত। এদের বাড়ি খুলনায়। একরাশ আতঙ্ক নিয়ে বনগাঁ সীমান্ত পেরেছিলেন তারা। দুজনেই জানালেন, " প্রচন্ড টেনশনে আছি। জানিনা কি হবে। একটু বাড়িতে ফিরতেই হবে।"