সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করল বিএসএফ-এর ১৪৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যদিকে, তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড এবং আমেরিকান ডলার এবং ইউরো। এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃতকে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে।
জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা শেখ সোহেল রানা। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। তবে, সেদেশে তাঁর নামে অপরাধমূলক একাধিক কাজের অভিযোগ রয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন বিএসএফের কর্তারা। ২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত তাঁকে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ পুলিশ। এরপর ২০০৮ সালে ফের তাঁকে চাকরিতে বহাল করা হয়।
তবে, সঠিক কী কারণে সীমান্ত টপকে শেখ সোহেল রানা এদেশে প্রবেশ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ভারত হয়ে নেপালের কাঠমান্ডু যাওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি সীমান্ত পার করে এপার বাংলায় আসেন। কিন্তু নেপালে তিনি কী উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি সোনা পাচার বা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িতে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তির সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন হাফ-প্যান্টে মিলল না করোনা-টিকা, পুরসভার ফতোয়ায় বিতর্ক
অন্য একটি সূত্রের খবর, ধৃত শেখ সোহেল রানার নামে বাংলাদেশে ১১০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের একটি বড় কোম্পানির ডিরেক্টরও তিনি। সরকারের চোখে ধূলো দিতে পাঁচ আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে ওই কোম্পানি চালাতেন তিনি। ওই কোম্পানির পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনকেই তছরুপের অভিযোগ এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই কারণেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে সহজেই নেপাল পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শেখ সোহেল রানার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন