/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/09/GHLi6R1K1nTPn1JUXJYo.jpg)
প্রতীকী ছবি।
Love affair across border:প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলেন এক গৃহবধূ। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেন প্রেমিক-সহ। এই ঘটনা এখন রীতিমতো চর্চায় কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার বাসিন্দা শিল্পী খাতুনের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে আলাপ হয় মালদার কালিয়াচকের এক বিবাহিত ব্যক্তি ইব্রাহিম মিয়াঁর। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু'জনের। রবিবার গভীর রাতে দালালের মাধ্যমে কুচলিবাড়ির অমর ক্যাম্প সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন শিল্পী। তাঁকে ঢুকিয়েই ভারতীয় দালাল চম্পট দেয়। এরপর পথ হারিয়ে গ্রামাঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার সময় গ্রামবাসীরা তাঁকে আটক করেন।
আরও পড়ুন- Suvendu-Mamata:'CBI তদন্তের সরাসরি সুবিধাভোগী মমতা', আগুনে অভিযোগে পুলিশকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!
প্রথমে শিল্পী নিজেকে মালদার বাসিন্দা বলে দাবি করেন এবং জানান তাঁর স্বামী তাঁকে নিতে এসেছেন। স্থানীয়রা খোঁজখবর চালিয়ে ইব্রাহিমকেও আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শিল্পীর কাছ থেকে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সোমবার ধৃতদের মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। শিল্পীর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ এবং ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে সহযোগিতার মামলা রুজু করা হয়েছে।
শিল্পীর অভিযোগ, ‘আমাদের সম্পর্কের কথা জানার পর আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়ে তিন সন্তানকে কেড়ে নেয়। একা হয়ে পড়ার পর মা আমাকে জোর করে এক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি চাইনি। তখন ইব্রাহিম আমাকে আশ্বাস দেয় ভারতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালে একবার অবৈধভাবে বাংলাদেশে গিয়ে ইব্রাহিম আমাকে ভারতে নিয়ে আসে। কয়েক মাস পর আবার বাংলাদেশে ফিরে যাই। এরপর থেকে সুযোগ খুঁজছিলাম ভারতে আসার। অবশেষে দালালদের সাহায্যে এসেছি। দুই দেশের দালালরা মিলিয়ে ৪২ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় দালাল রাতে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় আমি রাজি হইনি। তাই আমাকে মাঝপথে ছেড়ে পালিয়ে যায়।’
অন্যদিকে ইব্রাহিমের দাবি, ‘আমাদের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। আমার প্রথম স্ত্রীও জানে এবং সে-ও রাজি ছিল। তাই শিল্পীকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন-Ganesh Chaturthi:গণেশ চতুর্থীর ১০ দিনের আলাদা-আলাদা তাৎপর্য ও প্রতিদিনের পুজোর রীতি জানুন!
এই ঘটনায় প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন গড়াই বলেন, ‘ধৃত দুজনকে আদালতে তোলা হয়েছে এবং চারদিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শুধু প্রেমের সম্পর্কের টানেই কি এই ঘটনা, নাকি এর আড়ালে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ঘটনার পর সীমান্ত সুরক্ষা ও দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন- Unnatural Death:কলকাতার গেস্ট হাউসে অচৈতণ্য অবস্থায় উদ্ধার তরুণী, মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই গাঢ় রহস্য!