Bangladesh-India relation: বাংলাদেশ জুড়ে যেন ডালপালা মেলছে ভারত বিরোধী বিদ্বেষ। ভারতকে লাগাতার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইউনূস সরকার। এর পাশাপাশি সীমান্তে বাংলাদেশে সরকার তাদের সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। এমন আবহে ভারত ও ইজরায়েল 'শত্রুদের' কাছে টানার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইউনূস সরকার।
একদিকে যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ তেমনই সামরিক শক্তির জন্য তুরস্কের সাথে হাত মিলিয়েছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ডঃ ওমর বোলাতের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, উভয় দেশ সামরিক, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
ভারতকে লাগাতার হুমকির পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর লাগাতার চলছে নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তার সামরিক শক্তিকে বাড়ানোর লক্ষ্যেই তুরস্কের হাতে হাত মিলিয়েছে। এমনিতেই তরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্ব রয়েছে। এছাড়াও, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে তুরস্ক ২০২৪ সালের মে মাসে ইজরায়েলের সাথে যেকোনো ধরণের আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন নিজেকে 'শক্তিশালী' করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
Türkiye dostu Bangladeş Geçici Hükümeti Başdanışmanı Prof. Muhammad Yunus ile Dakka’da Türk iş dünyasının önde gelen çatı kuruluşlarının temsilcilerinin de katılımı ile kapsamlı ve samimi bir görüşme gerçekleştirdik.
— Prof. Dr. Ömer Bolat (@omerbolatTR) January 9, 2025
Türkiye olarak Bangladeş'in reform sürecinde her türlü katkıyı… pic.twitter.com/WEnoQo8CxV
৯ জানুয়ারী তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত তার প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় আসেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করেন। বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্ক বাণিজ্য থেকে শুরু করে সামরিক ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয় । পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্ককে সেদেশে বিনিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছে।
বাংলাদেশকে বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ হিসেবে বর্ণনা করে মহম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের তরুণদের জন্য আরও কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা করছে এবং এ ক্ষেত্রে তুরস্কের সাহায্যের প্রয়োজন।
তুরস্কের মন্ত্রী অধ্যাপক ওমর বোলাত বলেন, বাংলাদেশ এবং তুরস্ক টেক্সটাইল শিল্পের বাইরেও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করার বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্যপরিষেবা, ওষুধ এবং কৃষি যন্ত্রপাতির আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে তুরস্ক ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য
২০২৩-২৪ সালে বাংলাদেশ তুরস্কে ৫৮১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে, সেদেশ থেকে ৪২৪ মিলিয়ন মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে টেক্সটাইল ও আনুষাঙ্গিক, রাসায়নিক, , নির্মাণ এবং প্রকৌশল খাতে প্রায় ২০টি প্রধান তুর্কি কোম্পানি কাজ করছে।