Success Story: সাইকেলে চড়েই অসাধ্যসাধন। সাধারণ সিঙ্গল গিয়ার সাইকেলে কলকাতা থেকে বেনারস, অযোধ্যা হয়ে নেপাল বর্ডার পার করে একেবারে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। ৫৫ দিনের মাথায় অভীষ্ট লক্ষ্যে সফল যুবক। কলকাতায় কর্মরত ত্রিপুরার বাপি দেবনাথ যুগান্তকারী কীর্তির নতুন রেকর্ড করেছেন।
এর আগে ভারতের দু'জন সাইক্লিস্ট গিয়েছিলেন এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। বাপি দেবনাথের দাবি, তিনিই প্রথম বাঙালি হিসাবে সাইকেলে চড়ে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। আদপে ত্রিপুরার আগরতলার চন্দ্রপুরের বাসিন্দা বাপি দেবনাথ। ডাকনাম নীল। দীর্ঘ দিন ধরে কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। সিনেমাটোগ্রাফি ও এডিটিংয়ের কাজ করেন তিনি। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানো তাঁর নেশা।
এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছে ভিডিও বার্তায় বাপি বলেছেন, "সাধারণ সিঙ্গল গিয়ার সাইকেল নিয়ে ২১ মে ২০২৪ কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করি মাউন্ট এভারেস্টের উদ্দেশে। আমার রুট ছিল কলকাতা, বেনারস, অযোধ্যা, নেপাল বর্ডার হয়ে কাঠমান্ডু, সেলেরি, নামচিবাজার হয়ে এভারেস্ট। ১৪ জুলাই ২০০৪, ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট বেস্ট ক্যাম্পে পৌঁছোই। আমি প্রথম বাঙালি সাইক্লিস্ট হিসাবে এই রেকর্ড করেছি।" বাপি সাইকেল নিয়ে কলকাতা থেকে মাউন্ট এভারেস্ট পৌঁছানো ভারতের তৃতীয় সাইক্লিস্ট, প্রথম বাঙালি। বিশ্বের অষ্টম সাইক্লিস্ট।
বাপির বক্তব্য, "পুরো সাইকেল জার্নিটা আমার বাবাকে উৎসর্গ করেছিলাম। এখানকার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটা একটা রেকর্ড। তবে আমি যে রেকর্ড করব তা জানতাম না।" প্রথম বাঙালি হিসাবে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবাংলার বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাপি দেবনাথ। যাঁরা তাঁকে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন নীল।
আরও পড়ুন- Mandarmani: মন্দারমনির সমুদ্রে বিরাট বিপত্তি! বুক কাঁপানো কাণ্ডে আর্তনাদ-দিশেহারা দশা পর্যটকদের
যাত্রাপথের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বাপি বলেছেন, "এটাই বলব অসম্ভব বলে কিছু নেই। শুধু ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। অনেক দুর্গম রাস্তা দিয়ে আসতে হয়েছে। মৃত্যু মুখে পড়তে হয়েছে। তবে আমার লক্ষ্য ছিল এই অভিযান আমাকে যে কোনও মূল্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। আগামী দিনে আরও লক্ষ্য রয়েছে। সেগুলি পূরণ করার চেষ্টা করব।"