New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/11/atytMmjKQQZrB2tefqfb.jpg)
নেই যথাযথ নথি! আটতলা বেআইনি নির্মাণ চোখে পড়তেই অ্যাকশনে পুরপ্রধান, দিলেন বড় নির্দেশ
নেই যথাযথ নথি! আটতলা বেআইনি নির্মাণ চোখে পড়তেই অ্যাকশনে পুরপ্রধান, দিলেন বড় নির্দেশ
Bardhaman Municipality : বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ। নিজের দায়িত্বে বাড়ির মালিকে ভেঙে ফেলতে হবে আটতলা ওই বেআইনি নির্মাণটি। পুরসভার তরফে সময় বেধে দেওয়া হয়েছে ১৫ দিনের সময়সীমা। বর্ধমান পুরপ্রধানের এমন নির্দেশ তোলপাড়। নির্দেশ পেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাড়ির মালিক।
বর্ধমান শহরের কালীবাজার মোড়ের কাছে জি টি রোডের পাশে গড়ে উঠেছে আটতলার একটি নির্মাণ। কোনও রকম অনুমোদন ছাড়াই ওই বহুতলটি গড়ে উঠেছে এমনই দাবি বর্ধমান পুরসভার। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আধিকারিকদের নিয়ে ওই বহুতল পরিদর্শনে যান বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তিনি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে বাড়ি মালিককে কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায় হাজির হতে বলেন।
নির্দেশ সত্ত্বেও পুরসভায় হাজির না হওয়ায় চটে যান চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তাঁর অভিযোগ,“বহুতলের মালিক পুরসভায় আসেন নি। এমনকী বহুতল নির্মাণের যথাযথ কোন নথি দেখান নি। এহেন পরিস্থিতিতে বহুতলের মালিককেই সেটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পনেরো দিনের মধ্যে বহুতল ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। নির্দেশ মানা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুর প্রধান জানিয়েছেন। যদিও ওই বহুতলের মালিক তুহিনকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত যা নির্দেশ দেবে সেটাই তিনি মেনে নেবেন’।
বর্ধমানে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এই প্রথম এমনটা নয়। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বর্ধমান শহর জুড়ে চর্চা জারি রয়েছে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগও একের পর এক উঠেছে। এক তলা, দুতলা, চারতলা থেকে নানা বহুতল ও ফ্ল্যাট যথা নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি,এমন অভিযোগ গুচ্ছ গুচ্ছ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি বোর্ডের আমলেই বেআইনি নির্মাণ লাগামছাড়া পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ একাংশ শহরবাসীর।
কিছুদিন আগেই বর্ধমান পুরসভার ভবনে কুম্ভ থেকে জল এনে ছিটিয়ে শুদ্ধকরণ অভিযান করেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার। তিনি সেদিন, অভিযোগ করেন, শহরে অবৈধ নির্মান লাগামছাড়া হয়ে গেছে। মাঝেমাঝে পুরপ্রধান লোক দেখানো অভিযান করেন। এরপর বাজেট অধিবেশনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে পুরপ্রধান অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন ,“একদিনে বে-আইনি নির্মাণ বন্ধ হবে না। চোরও থাকবে, পুলিশও থাকবে। বে-আইনি বাড়িও হবে। আবার অভিযানও চলবে"।