Dilip Ghosh: ২০২৬-ই পাখির চোখ বঙ্গ বিজেপির। বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের কয়েকদিনের মধ্যেই এক বিরাট পলিটিক্যাল ‘স্টান্ট’ শমীক ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্যে পাশে বসিয়ে বার্তা দিলেন, এখন ‘একজোট হয়ে বিজেপি’ রাজ্যজুড়ে লড়বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সল্টলেকের রাজ্য অফিসে শতাধিক কর্মীর উপস্থিতিতে দুই নেতার উষ্ণ আলিঙ্গন এবং যৌথ ভাষণে উঠে আসে দলের মধ্যে সংহতির বার্তা। শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তড়িঘড়ি দিল্লি যাত্রা। সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের তলব। দলের মধ্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি ফের কোনও বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ?
দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শিব প্রকাশের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠক শেষে দিলীপ বলেন, “ওঁর বাংলা নিয়ে অভিজ্ঞতা আছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিজেপিকে এবার আরও ১০০ আসন পেতে হবে।”
তবে কী বাংলায় বাড়তি দায়িত্ব পেতে চলেছেন প্রাক্তন সাংসদ? এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, “এখনও পর্যন্ত কোনও নতুন দায়িত্ব পাইনি। কেন্দ্রীয় কমিটি তৈরি হলে তবেই সিদ্ধান্ত হবে।” বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ কী প্রার্থী হবেন? সে বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ডাকাবুকো বিজেপি নেতা মন্তব্য করেন, “পার্টির যখন আমাকে যেটা প্রয়োজন, সেটাই করব।” তিনি আরও বলেন, "সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে, উনি সভাপতি উনি যেটা চাইবেন সেটাই হবে। অনেক পুরনো কর্মীরা উৎসাহিত হয়েছেন। এর আগে অনেক ঘটনা ঘটেছিল। পার্টির মিটিংয়ে আমাকে চেয়ারই দেওয়া হতনা। আমি তো কাজ করে গেছি, পার্টি ছেড়ে চলে যায়নি, যারা আমাকে পার্টি ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল, তারা একসময়ে উঠে পড়ে লেগেছিল আমি তো দল ছেড়ে যায়নি। যে পার্টি দাঁড় করিয়েছে, সে কেন দল ছাড়বে?” এই মন্তব্য ঘিরে ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে, তবে কি দিলীপ ঘোষকে আবারও বড় কোনও সাংগঠনিক ভূমিকা দেওয়া হচ্ছে? নাকি ২০২৬ সালের নির্বাচনে তাঁকে ফের প্রার্থী করা হবে?
বিজেপির বার্তা— ভাঙন নয়, ঐক্য
রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপ ঘোষ ও দলের একাংশের মধ্যে দূরত্ব নিয়ে সম্প্রতি নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে একপ্রকার সেই জল্পনাতেই জল ঢাললেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি অন্তত দেখাতে চাইছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা ‘একসঙ্গে, ঐক্যবদ্ধ’। তবে বাস্তবে কতটা সেই ঐক্য বজায় থাকবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।