গত ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এবার জেলায় জেলায় কর্মসূচিকে ঘিরে শিবিরগুলিতে বাড়ছে জনতার ভিড়। কেমন চলছে কর্মসূচি, তা দেখতেই মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত এই অভিযান, আর সেটাই সরেজমিনে দেখতে গেলেন মমতা। ঘুরে দেখলেন, কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে।
মঙ্গলবার রানিগঞ্জে সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন ও শিল্যান্যাসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তখন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চলছিল সেখানে জোরকদমে। আচমকা মমতার উপস্থিতিতে হতবাক হয়ে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সবাই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় ক্যাম্পে উপস্থিত বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলকে বোঝান তিনি।
এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
আরও পড়ুন কৃষক আন্দোলনের পাশে মমতা, কেমন আছেন বাংলার চাষিরা?
এরপর তিনি রানিগঞ্জের সরকারি অনুষ্ঠানেও সেকথা বলেন। জানান, মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, সাড়া দেখতে পাচ্ছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে সবার উৎসাহ অনেক বেশি। অধিকাংশই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করছেন।
এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
প্রসঙ্গত, খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের স্বাস্থ্যসাথী, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের জাতিগত শংসাপত্র ও শিক্ষাশ্রী, আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের জয় জোহার, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের তফসিলি বন্ধু, নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ বিভাগের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ঐক্যশ্রী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের একশো দিনের কাজ। এছাড়া কৃষি দপ্তরের কৃষক বন্ধু এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের মিউটেশন-সহ মোট ১২টি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি