Mamata Banerjee meets Governor C V Anand Bose: ৭ মাস আগে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, আর কোনওদিন তিনি রাজভবনে যাবেন না। রাজ্যপাল ডাকলেও তিনি যাবেন না। রাজ্যপালের দরকার পড়লে তিনি রাস্তায় বসে কথা বলবেন, তবুও রাজভবনে নয়। সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার গেলেন রাজভবনে। সৌজন্য বিনিময় করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় দুজনের।
গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনে গেলেও রাজ্যপালকে কিছুটা এড়িয়ে চলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাত মাসে কী এমন হল যে বরফ গলে জল, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। রাজভবন এবং নবান্নের সংঘাত কি তবে শেষ? সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর।
দীর্ঘ সময় ধরে রাজভবন এবং নবান্ন সংঘাত চর্চার বিষয় ছিল বাংলার রাজনীতিতে। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রস্তাব পাঠান তা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন। তার দুদিনের মধ্যেই সম্পর্কের শৈত্য কাটিয়ে ফের হাসিমুখে রাজভবনে দেখা গেল বোস এবং মমতাকে।
রাজ্যে একের পর এক ইস্যু, সন্দেশখালি থেকে আরজি কর সবকিছুতেই রাজভবন এবং নবান্নের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে আসে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টেছে। কেন্দ্রের 'বাধ্য ছাত্র' হিসাবে ধরা হয় রাজ্যপালকে। সেই রাজ্যপালের মাধ্যমে কি তাহলে রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে মোদী সরকার, সেই জল্পনা বিরোধী মহলে। সম্প্রতি, রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদেরও শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল। মসৃণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বিষয়টি।
আরও পড়ুন 'মনে মনে কট্টর হিন্দুত্ববাদ পুষে রাখেন মমতা', আগুনে আক্রমণ BNP শীর্ষ নেতার
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষেই সায় দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রের যে অবস্থান তার সঙ্গেই যাবে তৃণমূল। সুতরাং মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশের মতো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্যের এক সুর রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলাতে সাহায্য করছে। এখন দেখার এই 'সুসম্পর্ক' কতদিন থাকে।