Firhad Hakim at Malda: মালদায় নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলা। আর এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে হেলিকপ্টারে করে এলেন রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রী ফিরহাদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সেচ দফতরের আরেক রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন-সহ জেলা তৃণমূলের বিশিষ্টজনেরা। এদিন মালদায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রথমে মালদা মেডিক্যাল কলেজে বাবলা সরকারের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কনভয় নিয়ে সোজা চলে যান বাবলা সরকারের সুকান্তপল্লি এলাকার বাড়িতে। সেখানে স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাঁকে সমবেদনা জানান।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মালদায় এসেছি। প্রশাসনের উচ্চতর নেতৃত্ব পর্যন্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধী যেই হোক না কেন দ্রুত তাদের গ্রেফতারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন তৃণমূল নেতা শহরের বুকে খুন হয়ে যাবে, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। এছাড়াও বাবলাবাবুর দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল সেটাও আমরা জানতাম না। কে এবং কেন বাবলাবাবুর দেহরক্ষী গত তিন বছর আগে তুলে নিয়েছিল সেটাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। অত্যন্ত মিষ্টিভাষী মানুষের এরকম শত্রু হতে পারে ভাবতেই অবাক লাগছে। ওনার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। ইতিমধ্যে দুইজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে বলেও পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারে। অপরজনের বাড়ি ইংরেজবাজারে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি আর কিছু বলা সম্ভব নয়।'
আরও পড়ুন মাথায় পর পর ৩টে গুলি! হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হল না, তৃণমূল নেতা খুনে শোকের ছায়া মালদায়
রীতিমতো হিন্দি সিনেমার কায়দায় মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতাকে শুট আউট করল দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সামনে দোকানের ধাওয়া করে পরপর মাথায় তিনটে গুলি করে খুন করা হয় মালদার তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে (৬২)। বর্তমানে বাবলাবাবু তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি পদেও ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারকে তাঁর অনুগামীরা পরে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। এরপরই শহরের একটা অংশে কার্যত বন্ধের চেহারা নেই। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে সমর্থকেরা।