উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বিরাটিতে 'গাড়ি দুর্ঘটনায়' এক ব্যক্তির মৃত্যুর দশদিন পর বৃহস্পতিবার হত্যার মামলা দায়ের করল পুলিশ। ইতিমধ্যে মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তির নাম দেবাঞ্জন দাস। কিন্তু এই মৃত্যুকে খুন বলেই দাবি করেছেন দেবাঞ্জনের পরিবার। শুধু তাই নয়, খুনের অভিযোগ না নেওয়ার পিছনে পুলিশকেই দায়ী করেছেন তাঁরা।
দেবাঞ্জন দাসের পরিবারের অভিযোগ, যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে দেবাঞ্জনকে পাওয়া যায়, সেখানে গুলির 'শেল'ও ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তুললেও পুলিশের তরফে দেবাঞ্জনের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলেই উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কমিশনার আরও বলেন, "আমরা শীঘ্রই অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হব।"
আরও পড়ুন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গুলি, প্রাণ হারালেন বিএসএফ জওয়ান, আহত এক
ঠিক কী ঘটেছে?
সূত্রের খবর, ৭ অক্টোবর বিরাটিতে বান্ধবীকে ছেড়ে দিয়ে নিমতার দাগা কলোনীতে নিজের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে ফেরার সময় বিরাটির পাঁচ নম্বর রেলগেটে ধাক্কা মারেন দেবাঞ্জন। সংঘর্ষের শব্দ শুনেই স্থানীয়রা বেরিয়ে আসেন এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দেবাঞ্জনকে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু গাড়ির অবস্থা দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস। এরপরই তিনি পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁদের এই অভিযোগ নিতেই চায়নি।
আরও পড়ুন, মাটির নীচ থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত শিশুকন্যার বাঁচার লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে বরেলি
নিহত দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস বলেন, "গাড়িটিতে এয়ারব্যাগ থেকে শুরু করে সুরক্ষার সবরকম বন্দোবস্ত ছিল। যদি দুর্ঘটনাই হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তো এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, আমরা গাড়ির ভিতর গুলির চিহ্ন দেখেছি, এমনকি আমার ছেলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্নও ছিল। আমি তখনই পুলিশকে জানিয়েছিলাম যে এটা খুন, কিন্তু পুলিশ এটাকে দুর্ঘটনা বলে চালাচ্ছিল। এখন ময়নাতদন্তে প্রমাণিত হল যে শরীরে গুলির আঘাত ছিল। আমি চাই অপরাধীর শাস্তি হোক।" দেবাঞ্জনের শোকাতুর বাবা আরও বলেন, "যা দেরি হওয়ার হয়ে গেছে। ১০ দিন কেটে গেছে। জানি না পুলিশের তদন্তে এরপর কী তথ্য উঠে আসবে।"
Read the full story in English