Malda School: একদিকে চলছে স্কুলের ক্লাস, অন্যদিকে চলছে বিড়ি বাঁধা। বন্ধ রয়েছে মিড ডে মিলের রান্না। বিড়ির গন্ধ চারদিকে। অসুস্থ বোধ করছেন বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীরা। বিড়ি বাঁধার সেই ভিডিও ভাইরাল করেছেন সংশ্লিষ্ট হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিজেই। আর তারপর থেকেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতির মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনে জেলা শিক্ষা দফতরে নালিশ জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের আইহো হাইস্কুলে।
বর্তমানে আইহো হাইস্কুলে ১৮০০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি রয়েছেন সঞ্জয় বর্মন। তাঁর বাড়ি হবিবপুরের কেন্দুয়া এলাকায়। সঞ্জয়বাবু পেশায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। সংশ্লিষ্ট স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সঞ্জয় বর্মনের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। তার ওপর ক্লাস চলাকালীন স্কুল চত্বরেই বেশ কিছু মহিলারা বিড়ি বাঁধার কাজ করছেন। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক পাল্টা আমাকে হুমকি দেয় । মিড ডে মিলের কয়েকজন রাধুনীরা স্কুলে বসে বিড়ি বাঁধছে । তাদের জিজ্ঞেস করলে প্রধান শিক্ষকের কথা বলেন তারা। সেই ছবি কিছুদিন আগে মোবাইলে তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছিলাম। তারপর থেকেই সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রোষের মুখে পড়েছি। এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হলেও রীতিমতো আমাকে অপমানিত করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা লাটে উঠেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছি।
এদিকে আইহো হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মিশ্র অবশ্য জানিয়েছেন , এই হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। আর তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। স্কুলে সিভিকের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ তাঁরা। পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা ওই সিভিকের কথামতো কাজ না করাই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেলা শিক্ষা দপ্তরে জানানো হয়েছে।মালদা জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস জানিয়েছেন,পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।