/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/bihar-election-2025-tejashwi-yadav-sharia-law-remark-controversy-2025-10-27-12-30-29.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব
Bihar Election 2025: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য চলছে হাইভোল্টেজ প্রচারাভিযান। মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব রবিবার ওয়াকফ (সংশোধন) আইন সম্পর্কে কেন্দ্রকে তীব্র নিশানা করে বলেছেন, মহাজোট ক্ষমতায় এলে ওয়াকফ (সংশোধন) আইন 'ডাস্টবিনে' ফেলে দেওয়া হবে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাটিহার জেলায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা অভিযোগ করেন যে তার বাবা এবং আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ কখনও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে কোনও রকমের আপস করেননি, তবে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সর্বদা এই ধরণের শক্তিকে সমর্থন করেছেন, যার কারণে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলি রাজ্য এবং দেশে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) "ভারত জালাও পার্টি" হিসাবে অভিহিত করে বলেন যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাদের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা আরও তীব্র হবে।
আরও পড়ুন- ছট পুজোয় বিরাট সুখবর! হুড়মুড়িয়ে কমল সোনার দাম,জানুন আপনার শহরের সর্বশেষ দর
তেজস্বী বলেন, "যদি 'মহাজোট' জোট ক্ষমতায় আসে, তাহলে আমরা ওয়াকফ আইনটি ডাস্টবিনে ফেলে দেব।" উল্লেখযোগ্য যে ওয়াকফ (সংশোধন) আইনটি এপ্রিল মাসে সংসদে পাস হয়েছিল। শাসক দল এটিকে পিছিয়ে পড়া মুসলিম এবং সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য স্বচ্ছতা এবং ক্ষমতায়নের একটি উপায় হিসাবে বর্ণনা করেছে, অন্যদিকে বিরোধী দল অভিযোগ করেছে যে এটি মুসলমানদের অধিকারকে খর্ব করবে।
তেজস্বী অভিযোগ করেন যে মানুষ ২০ বছরের পুরনো রাজ্য সরকারের উপর বিরক্ত। দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুবই খারাপ। তিনি আরও বলেন, যদি তাঁর সরকার গঠিত হয়, তাহলে বার্ধক্য ভাতা প্রতি মাসে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। উল্লেখ্য, শনিবার, আরজেডি এমএলসি মহম্মদ কারি সোহাইবও একই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন যে তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে "ওয়াকফ বিল সহ সমস্ত বিল ছিঁড়ে ফেলা হবে।" বিজেপি এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, দলের তরফে বলা হয়েছে কোনও রাজ্য সরকার কীভাবে কেন্দ্রীয় আইন পরিবর্তন করতে পারে। এই পরিস্থিতিতেই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম দাবি করেছেন“তেজস্বী যাদব ভুলে গেছেন যে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন করেন জনগণ, দল কেবল মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্ধারণ করে। তিনি নিজের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যদি তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে ওয়াকফ আইনের আর কোনও প্রয়োজন হবে না, কারণ তিনি শরিয়া আইন প্রয়োগ করবেন।”
আরও পড়ুন- “সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদ শুভেন্দু”, বিস্ফোরক কল্যাণ, কড়া জবাব বিরোধী দলনেতার
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিহার সফর নিয়েও মুখ খুলেছেন তেজস্বী যাদব। রবিবার পাটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিহারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে আসছেন। তেজস্বীর কথায়, “নির্বাচনের আগে সকলকেই আসতে হয়, কিন্তু তাঁর আসায় বাস্তব পরিবর্তন হবে না। সবাই জানেন, তিনি বিহারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে আসছেন।”
তেজস্বী আরও বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কেবল জানতে চাই, আপনি গত ১১ বছরে গুজরাটকে কী দিয়েছেন এবং বিহারকে কী দিয়েছেন। হিসাব দিন — গুজরাটকে কত বরাদ্দ করা হয়েছে আর বিহারকে কতটা সাহায্য করা হয়েছে।”
এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল শনিবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ অক্টোবর বিহারে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন। তিনি মুজাফফরপুর ও ছাপরায় দুটি জনসভায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-২৬-এর ভোটের আগে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ, বাংলায় SIR-এর দিনক্ষণ ঘোষণা
উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ভোটগণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us