Parliament Monsoon Session SIR Protest Rally: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা S I R বাতিলের দাবিতে বিরোধীদের নির্বাচন উত্তাল দিল্লি, SIR বাতিলের দাবি, বিরোধীদের নির্বাচন কমিশন দপ্তর অভিযানে প্রবল উত্তেজনা।
কমিশনের দপ্তর অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত রাজধানী। সোমবার সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু হতেই তা ব্যারিকেড করে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। ব্যারিকেডের মাথায় উঠে বিক্ষোভ শুরু করেন মহুয়া মৈত্র-সহ মহিলা সাংসদরা। দিল্লির রাজপথে ধরনা অখিলেশ যাদবদের। অনুমতি ছাড়া কেন অভিযান? প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত মজুমদার। S I R প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এদিন অভিযানে যোগ দেন বিরোধী সাংসদরা। 'ভোট চুরি বন্ধ কর' কমিশনের উদ্দেশ্যে স্লোগান বিরোধীদের।
বিহারের ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও “ভোট জালিয়াতি”র অভিযোগে সোমবার (১১ আগস্ট) দিল্লিতে সংসদ থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় অংশ নেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র সহ একাধিক বিরোধী জোটের নেতারা। তবে নির্বাচন কমিশন অফিসে পৌঁছানোর আগেই দিল্লি পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। এই সময় অখিলেশ যাদবকে ব্যারিকেড টপকে যেতে দেখা যায়।
বিরোধী জোটের এই মিছিলের কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিল্লি পুলিশ দেয়নি। সংসদ ভবনের মকর দ্বারে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে মিছিলের সূচনা করেন বিরোধী সাংসদরা। তারা SIR বাতিল এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সকাল থেকেই সংসদের ভেতরে হট্টগোলের জেরে রাজ্যসভার কার্যক্রম দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার অনিয়মের প্রমাণ দেওয়ার পরও কমিশন কোন সদর্থক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈও কমিশনের স্পষ্ট জবাব দাবি করেন। কমিশন অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রমাণ হাজির করার আহ্বান জানিয়েছে এবং অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সতর্ক করেছে।
বিরোধী জোটের এই কর্মসূচির আগে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বৈঠক করেন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রেও একইদিন উদ্ধব ঠাকরে ও মহাবিকাশ আঘাড়ি নেতাদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। সমাজবাদী পার্টি পূর্বেও একাধিকবার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে, যা এবারও নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।