Fake Teacher Controversy: স্কুল পরিচালন সমিতির নিয়োগ করা ১৫ জন শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা ভুয়ো। এমনই দাবি করে পুলিশ দিয়ে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হল। জেলা শাসক গ্রামবাসীদের পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন বহিরাগত কোন লোককে স্কুলের ভিতর ঢুকতে দেবেন না। জেলা শাসকের পক্ষ থেকে তাদের স্কুলে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ১৫ জন শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীর দাবি লিখিত নির্দেশ না পেলে তারা স্কুলে নিয়মিত ঢুকবেন। জেলা শাসকরা চলে যেতেই পুলিশ ভুয়ো শিক্ষক অশিক্ষকদের স্কুল থেকে বের করে দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার মাড়গ্রাম হাইমাদ্রাসা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে ২০১৭-১৮ সালে পরিচালন সমিতি ১১ জন শিক্ষক এবং ৪ জন অশিক্ষককে নিয়োগপত্র দেন। সে সময় নিয়োগপত্র পেয়ে ১৫ জনই নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত শুরু করেন। কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছিল না। এরপর তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
ওই শিক্ষকদের মধ্যে কর্মশিক্ষার শিক্ষক রিয়াজ কাজল বলেন, “সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে আমরা আবেদন করেছিলাম। লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে নিয়ম মেনে আমরা নিয়গপত্র পেয়েছিলাম। পরিচালন সমিতি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের নিয়োগপত্র দেয়। সেই মত আমরা নিয়মিত স্কুলে আসছি। কিন্তু বেতন পাচ্ছিলাম না। এরপর আমরা প্রথমে হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট পরিস্কার নির্দেশ দেয় ১৫ জনের নিয়োগ সুনিশ্চিত করতে হবে। তাদের কোনরকম ‘ডিস্টার্ব’ করা যাবে না। সেই মত আমরা স্কুলে পাঠদান করছিও। কিন্তু এদিন জেলা শাসক আমাদের ভুয়ো বলেছেন। ফোরাম বলে একটি সংগঠন রয়েছে, সেই সংগঠনের দালালরা আমাদের ভুয়ো বলছে। জেলা শাসক আমাদের বেরিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু লিখিত না পেলে আমরা নিয়মিত স্কুলে আসব”।
বুধবার স্কুলে যান রাজ্য সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন দফতরের সচিব পি বি সেলিম, জেলা শাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে এবং পুলিশ আধিকারিকরা। জেলা শাসকের দাবি, যারা বৈধ শিক্ষক বলেছেন তাঁরা কোন বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। ফলে তাদের স্কুলে ঢুকতে বারন করা হয়েছে। জেলা শাসক গ্রামবাসীদের অনুরোধ করেন, আপনারা বহিরাগত কোন লোককে স্কুলের মধ্যে ঢুকতে দেবেন না। কারন স্কুল আপনাদের।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, “পরিচালন সমিতি উনাদের নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন। এনিয়ে মামলা হয়। ফলে দীর্ঘদিন উনারা স্কুলে আসেননি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের বলে কয়েক দিন আগে গরমের ছুটির পর উনারা পুনরায় যাতায়াত শুরু করেন। তবে স্কুলের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতে দেননি। যাঁরা এদিন স্কুলে এসেছিলেন তাদের আমি নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। কারন প্রধান শিক্ষক কোন কাগজ আমাকে দিয়ে যাননি। শুধুমাত্র হাজিরা খাতা জেলা শাসক নিয়ে গিয়েছেন”।