ভাদু শেখ খুনের পরই তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল এবং আজাদ শেখের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বগটুই কাণ্ডে তদন্তে নেমে প্রথমেই আনারুল এবং আজাদকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে নিয়ে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আনারুল, আজাদ-সহ মোট চারজনকে এদিন জেরার জন্য নিয়ে যায় সিবিআই।
রবিবার আনারুলকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ফের চিৎকার করে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আনারুল। এর আগে আদালতে তোলার সময় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব বলেছিলেন আনারুল। এদিন ফের বিস্ফোরক দাবি করেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, বিরোধীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে তাঁকে গ্রেফতারের পিছনে। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন আনারুল এবং আজাদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। ঘটনার দিন রাতে আনারুল এবং আজাদের মধ্যে ফোনে আদৌ কথা হয়েছিল কি না, আর হলে কী কথা হয়েছিল তা জানা যাবে তাঁদের জেরা করে।
এদিকে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড শুরু করে সিবিআই। সিবিআইয়ের ডিআইজি নিজে গিয়েছেন বয়ান রেকর্ড করতে। সেখানে চারজন ভর্তি রয়েছেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায়। এক জন মহিলা ৬৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভর্তি, আইসিইউ-তে থাকার জন্য তাঁর বয়ান আজ রেকর্ড করা হয়নি। বাকি তিন জনের বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন এগোচ্ছে তদন্ত, রামপুরহাট হাসপাতালে CBI, ফের বগটুইয়ে ফরেন্সিক টিম
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই গণহত্যার তদন্তভার হাতে পেয়ে শনিবারই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সিবিআই দল। ডিআইজি-সিবিআই অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি দল তিন ভাগে ভাগ হয়ে তদন্তের কাজ চালিয়েছে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ঘুরে দেখেছেন অফিসাররা। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। তবে এবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন বগটুইকাণ্ডে ধৃত আনারুলের মুখেও ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব, CBI-কে সহায়তার দাবি
উল্টোদিকে, বগটুইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারা বেশ কয়েকজন। সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজই কথা বলতে যেতে পারেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁদের কাছেও একই প্রশ্ন রাখবেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদেরও বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানা গিয়েছে।