২১ জুলাইয়ের 'শহিদ সভা' বিজেপির বিরুদ্ধে 'জেহাদ', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে দিন কয়েক ধরেই সোচ্চার বঙ্গ বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের পর এবার সরব অমিত মালব্য। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতাও তৃণমূলের 'শহিদ দিবস'-কে বিজেপির বিরুদ্ধে 'জেহাদ' মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২১ জুলাই রাজ্যের হাইওয়ের ধারে থাকা হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে বাড়তি ব্যবস্থা করতে বলার সরকারি নির্দেশিকারও কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা।
দু'বছর পর এবারই প্রকাশ্যে ২১ জুলাইয়ের 'শহিদ সভা' করছে তৃণমূল। রাজ্যের কোনায়-কোনায় শহিদ দিবসের সভার সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলছে শাসকদল। জোড়াফুলের ছোট-বড়-নেতাদের এখন নাওয়া-খাওয়ার ফুরসত নেই। কে কত বেশি লোক নিয়ে শহিদ দিবসের সভায় হাজির হবেন তা নিয়েই চলছে বিস্তর আলোচনা-তৎপরতা। ২১ জুলাইয়ের 'শহিদ সভা' বিজেপির বিরুদ্ধে 'জেহাদ' বলে মন্তব্য করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। এই 'জেহাদ' শব্দেই তীব্র আপত্তি পদ্ম শিবিরের।
আরও পড়ুন- শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু মেট্রোর, কত মিনিট অন্তর মিলছে ট্রেন, কতক্ষণে পৌঁছবেন সেক্টর ফাইভ?
এছাড়াও ২১ জুলাইয়ে কলকাতামুখী হাইওয়ে ও সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে ধাকা সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। ওই দিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলিতেও যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত মজুত খাতে সেব্যাপারেও নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
আরও পড়ুন- তুঙ্গে আতঙ্ক, মাঙ্কিপক্স ঢুকে পড়ল ভারতেও? বিদেশ ফেরত ব্যক্তি আক্রান্ত বলে সন্দেহ
একটি রাজনৈতিক দলের সভা উপলক্ষে সরকার কীভাবে নির্দেশিকা জারি করে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়তি তৎপরতা নিতে নির্দেশ দিতে পারে? এই প্রশ্ন তুলে টুইটে সোচ্চার অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, ''২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদের দিন বলে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা যেন একটা হত্যাকাণ্ডের মতো শোনাচ্ছে। কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার সভার পথে থাকা সব সরকারি হাসপাতালকে বাড়তি ব্যবস্থা করতে বলছে? এটা কি সরকারি প্রোগ্রাম নাকি তৃণমূলের? জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর নির্লজ্জ অপব্যবহার।''
আগেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের এই শহিদ সভা পালন নিয়ে বিস্তর টিপ্পনি কেটেছেন। ২১ জুলাই তৃণমূলের 'শহিদ সভা' পালনের কোনও অধিকার নেই বলেই মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ২১ জুলাই দিনটি 'শহিদ দিবস' হিসেবে পালন করার অধিকার একমাত্র কংগ্রেসেরই রয়েছে বলে মনে করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।