নবান্ন অভিযানে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ওপর 'অত্যাচার' চালিয়েছে পুলিশ, শাহ-নাড্ডাদের এমনই নালিশ জানিয়েছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। সেই নালিশ শুনেই এবার বংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যে এসে শাসকদলকে তুলোধনা বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। 'বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকারকে তুলোধনা করে মন্তব্য বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ ব্রিজলালের।
শনিবার পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যে পাঠিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ দিনভর নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা প্রতিনিধি দলের। পরে বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের। দিল্লি ফিরে গিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন নাড্ডাকে। উল্লেখ্য, শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া দলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার উত্তাল হয়েছিল শহর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা।
দিকে-দিকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়াতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। বিপুল জনরোষ সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। জলকামানা, লাঠিচার্জ করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। যদিও পুলিশি পদক্ষেপে যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি। পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে বোমা মারারও অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন- কবে মিলবে জামিন? চিন্তা যেন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, রাতভর দু’চোখের পাতা একই করতে পারলেন না পার্থ
শনিবার কলকাতায় বিজেপির পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল এসে পৌঁছোয়। নবান্ন অভিযানে আহত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক তাঁদের। দিল্লিতে ফিরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের তরফে সাংসদ ব্রিজলাল রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধন করেছেন। তিনি বলেন, ''জঙ্গলরাজ চলছে বাংলায়। পুলিশই বোমা মেরেছে বলে শুনছি।''
এরপরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যেরও কড়া জবাব দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বলছেন উনি হলে কপালে গুলি করতেন। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করছে। এখানে জঙ্গলরাজে তোলাবাজি, কাটমানি চলছে। ঘর থেকে কোটি কোটি টাকা মিলছে।'' এদিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের শারীরিক পরিস্থিতিরও খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। এরই পাশাপাশি নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁরা। মীনাদেবীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- আজও ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যাবে একাধিক জেলা, কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
এদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের এই বঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ''বিজেপির যাঁরা এসেছেন তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরা রাজনৈতিক পর্যটনে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির সন্ত্রাস দেখতে ওঁরা যান না। ওঁরা কি বলছেন তাতে কিছু যায় আসে না।''