গতকালের পর আজও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসে আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এদিন বিজেপির পাঁচ সাংসদের ওই প্রতিনিধি দলটি হাওড়ার আমতায় গিয়েছিল। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য প্রশাসনকে তুমুল আক্রমণ শানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের প্রধান বিনোদ শোনকার। 'প্রশাসনের মদত ছাড়া এই সন্ত্রাস কখনই সম্ভব নয়।' রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করে সরব প্রয়াগরাজের বিজেপি সাংসদ।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেও থামেনি সন্ত্রাস। বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে এখনও বিরোধীদের বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া রয়েছেন বলে দাবি। বিজেপির দাবি, একাধিক জেলায় পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন আক্রান্ত কর্মীরা। বাংলায় ভোট সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। বিজেপির পাঁচ সাংসদের সেই দলটি গতকাল রাজ্যে এসে গিয়েছিল হুগলিতে। সেখানে আরামবাগ-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাংসদরা।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী ‘সন্ত্রাস’ না থামিয়ে ফিরবে না আধাসেনা? হাইকোর্টে কী জানাল কেন্দ্র?
সোমবার তাঁরা গিয়েছিলেন হাওড়ার আমতায়। এই এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্তদের একটি বড় অংশ তপশিলি জাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের। এদিন আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির ওই প্রতিনিধি দলের প্রধান বিনোদ শোনকার বলেন, 'প্রশাসনের মদত ছাড়া এই সন্ত্রাস কোনওভাবেই সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এর জবাব দিতে হবে।'
আরও পড়ুন- খাঁড়িতে ঢুকতেই মৎস্যজীবীর ঘাড়ে ঝাঁপ! নিমেষে উধাও দৈত্যাকার বাঘ! পরের কাণ্ডে তোলপাড়!
দিল্লিতে ফিরে গিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় 'সন্ত্রাস' নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট দেবে প্রতিনিধি দলটি। এমনকী জাতীয় তপশিলি কমিশনকেও আলাদা করে রিপোর্ট জমার কথাও তাঁরা জানিয়েছেন। সোমবার রাতেই দিল্লিতে ফিরে যাবে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় দলটি।
এদিকে, বাংলায় ফের একবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানোয় বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও। দলের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, 'ওঁদের বসেরা যা শিখিয়ে পাঠিয়েছেন সেটাই করছেন ওঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছিলেন মণিপুরে। তারপর প্রধানমন্ত্রী সংসদের ভিতরে এব্যাপারে মুখ না খুললেও বাইরে অন্তত বক্তব্য রেখেছিলেন।'