২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ ও বিরোধী ইন্ডিয়া জোট নানা কর্মসূচি নিয়ে চলেছে। কখনও প্রকাশ্য কর্মসূচি কখনও-বা অন্দরমহলের বৈঠক করে মজবুত করতে চাইছে জোটকে। লোকসভা ভোটের দামামা যে বেজে গিয়েছে তা দুই জোটের কার্যকলাপেই একেবারে স্পষ্ট। বাংলাকে নিয়ে যে বিজেপির বড় লক্ষ্য রয়েছে তা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাতে দিল্লিতে বাংলা, ঝাড়খন্ড ও ওড়িষার সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভিডিওগ্রাফীর মাধ্যমে বাংলার সাংসদ প্রতিনিধিদের অবগত করা হয়েছে এই বৈঠকে। এনডিএ-এর ব্য়ানারে এই বৈঠক হলেও বাংলায় শুধু ওই জোটের বিজেপির সাংসদ রয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে হাজির ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব, অনুপম হাজরা। ঝাড়খন্ড, ওড়িষার পাশাপাশি বাংলার সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, প্রবীণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, তাঁদের সম্মান করতে। সোশাল মিডিয়ায় আরও রিচ বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছেন মোদী। এই বৈঠকে সাংসদদের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- নিশানায় মমতা সরকার, ফের তারিখ উল্লেখ করে তুলকালাম দুর্নীতি ফাঁসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর!
এই বৈঠকে শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে সাংসদদের বোঝানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, তথ্য চিত্রে প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। সেই সব প্রকল্প কিভাবে রাজ্য সরকার নাম পরিবর্তন করে নিজেদের নামে চালাচ্ছে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভিডিওতে বাংলার শাসকদলের হিংসাসহ নানা কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক মানুষ খুন হয়েছে। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প অন্য়দিকে রাজ্য সরকারের বা শাসকদলের দুর্নীতি ও অশান্তি নিয়ে প্রচারের ওপর জোর দিতে চায় বিজেপি তথা এনডিএ। দুই দফার তথ্য চিত্রে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
শিয়রে লোকসভার ভোট। তেড়েফুঁড়ে নেমেছে দুই পক্ষ। অমিত শাহ বাংলায় লোকসভা আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ৩৫। সেই লক্ষ্যপূরণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্তরে লাগাতার নির্বাচনী কৌশল রচনা করছে পদ্মশিবির। নেতৃত্বে থাকছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।