লাভপুর হত্যা মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সালে লাভপুরে তিন সিপিএম সমর্থক ভাইকে খুনের ঘটনায় কিছুদিন আগে অতিরিক্ত চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। এই মামলায় প্রথম থেকেই অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মণিরুল ইসলাম। তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল। কিন্তু বিজেপি নেতার ‘আবেদন ত্রুটিপূর্ণ’ হওয়ায় ওই আর্জি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করেছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: নিজের দলের সমালোচনা করে মমতার অবস্থানকেই সমর্থন, বদলাচ্ছে পিকের রাজনৈতিক কেরিয়ার?
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে লাভপুরের বুনিয়াডাঙা গ্রামে সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত তিন ভাইকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নাম জড়ায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের। এই মামলায় প্রথম চার্জশিটে মুকুলের নাম ছিল না। ক’দিন আগে এই খুনের মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিটে মণিরুলের পাশাপাশি মুকুল রায়ের নাম রাখা হয়। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর দলবদলের স্রোতে মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। কিন্তু ‘খুন-সন্ত্রাসে’ অভিযুক্ত মণিরুলকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির একাংশেই ‘অসন্তোষ’ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির মনোবল তলানিতে? মুকুল-পুত্র-সব্যসাচীর সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে প্রশ্ন
এদিকে, রেল প্রতারণার মামলাতেও নাম জড়িয়েছে মুকুল রায়ের। এই মামলায় বেহালার সরশুনা থানায় মুকুল রায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মুকুল ও আরও ৪ জনের নামে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রেল বোর্ডের সদস্য করার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন ওই বাসিন্দা। এ বছরের গোড়াতেই অভিযোগ দায়ের করেন ওই বাসিন্দা। সেই মামলাতেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুকুল।