নেতাজির জন্মজয়ন্তীর পর এবার বিধানসভা অধিবেশনেও জয় শ্রীরাম ধ্বনি! ভিক্টোরিয়া কাণ্ডের পর রাজ্য রাজনীতি তুলকালাম হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়করা কৃষি আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিরোধিতায় বিধানসভায় হট্টগোল করে। এরপর জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দিতে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন। ঘটনায় ব্যাপক চাপানউতোর হয় বিধানসভায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের পক্ষে স্লোগান তুললে তীব্র আপত্তি জানান গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে তাঁরা আবারও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, স্বাধীন সরকার, আশিস বিশ্বাস, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, দুলাল বর-সহ বাকিরা।
আরও পড়ুন চার ‘বেসুরো’ বিধায়কের বিধানসভায় গরহাজিরায় জল্পনা বাড়ল
হট্টগোলের মধ্যে দুলাল বরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর। সেই ধস্তাধস্তি সামলাতে আরেক সিপিএম বিধায়ক সুজিৎ চক্রবর্তী ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকেও ধাক্কা দেন দুলাল বর। এদিন বিধানসভার সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী কৃষি আইনের খারাপ দিকগুলি তুলে ধরেন।
কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, ”কৃষকদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জন্য বিজেপি সরকার দায়ী । আমাদের মধ্যে আদর্শগত বিভেদ থাকতে পারে। কিন্তু কৃষকরা লালকেল্লা দখল করতে গিয়েছিলেন, তা আমি বিশ্বাস করি না। কৃষকরা খালিস্তানি নয়। কৃষি বিলগুলো জোর করে পাশ করানো হয়েছে। তিনটি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকদের সব কর মকুব করতে হবে। হয় আইন প্রত্যাহার করো, নাহলে সরকার গদি ছাড়ো।”
আরও পড়ুন তাপস রায়ের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে বিধানসভায় তুলকালাম
এটা শোনার পরই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন। বিধানসভার বাইরে গিয়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হট্টগোলের মধ্যেই কৃষি আইন খারিজ করে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়। ৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পেশ হবে ভোট অন অ্য়াকাউন্ট। ৬ এবং ৮ তারিখ এটার উপরে আলোচনা হওয়ার কথা।