রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে অস্বস্তি যেন বেড়েই চলেছে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
খাস রাজধানীর থানায় অখিল গিরির নামে এফআইআর দায়ের হল। রাজ্যের মন্ত্রীর নামে এবার পুলিশে নালিশ ঠুকলেন হুগলির বিজেপি সাাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমানের মধ্য দিয়ে গোটা আদিবাসী সমাজের মহিলাদের অপমান করেছেন বলে মনে করেন লকেট।
রাজ্যে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার আদিবাসীদের নিয়ে নানা কথা বললেও আদতে তাঁদের উপেক্ষার চোখে দেখে বলেই মনে করেন বিজেপি নেত্রী লকেট। তৃণমূলের আমলে বাংলার আদিবাসী সমাজের কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেই মনে করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করায় দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অখিল গিরির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন লকেট।
আরও পড়ুন- অখিলে চটে লাল জাতীয় মহিলা কমিশন! তৃণমূলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন পদক্ষেপ
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্রমাগত তাঁকে আক্রমণ করে চলায় পাল্টা জবাব দিতে গিয়েছিলেন অখিল গিরি। দলেরই একটি সভায় শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর রূপ নিয়ে মন্তব্য করে বসেন এই তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে অখিল গিরি কীভাবে রাষ্ট্রপতির নামে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়েই বিরোধীরা কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূলকে। এদিকে, জোড়াফুলের শীর্ষ নেতারাও অখিল গিরির এই মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে রুখতে মরিয়া বাম-কংগ্রেস, বিজেপি, পুরনো রাজনীতির ছকেই বাজিমাত!
ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে শেষমেশ নিজের বক্তব্যে অনুতাপ প্রকাশ করেন অখিল। এতেও অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। শনিবারই অখিল গিরির বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে নালিশ জানান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। চিঠিতে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য অখিল গিরির বিধায়ক পদ খারিজ, তাঁকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান সাংসদ। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জাতীয় মহিলা কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি-কে চিঠি লিখে অখিল গিরির বিরিদ্ধে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এরই পাশাপাশি অখিল গিরিকেও তাঁর মন্তব্যের জন্য লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মহিলা কমিশন।