ভরদুপুরে ধুন্ধুমার-কাণ্ড শহর কলকাতায়। ‘ডেঙ্গি দমনে ব্যর্থ কলকাতা পুরসভা’ এই অভিযোগে আজ পুরসভা অভিযানে নামে বিজেপির যুবমোর্চা। সেই অভিযান ঘিরেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের যোগাযোগ ভবন চত্বর। মিছিলে বাধা দিলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। টেনে-হিঁচড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সরায় পুলিশ।

শহরে ডেঙ্গির সংক্রণ বেড়ে চললেও হেলদোল নেই পুরসভার, এমনই অভিযোগ বিজেপির। কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য গোপন করছে বলেও সোচ্চার গেরুয়া শিবির। ডেঙ্গি নিয়ে এই অভিযোগ তুলে ধরেই বৃহস্পতিবার পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল পদ্ম ব্রিগেড। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগে যোগাযোগ ভবনের সামনের রাস্তায় ব্যারিকড করে রেখেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন- কয়লা পাচার মামলায় চূড়ান্ত তৎপরতা, তৃণমূলের এই নেতাকে দিল্লি ডাকল ED
এদিন মিছিল করে এসে ওই ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরেই পুলিশ বাধা দিলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভ অভিযান তুলে নেওয়ার আবেদন জানান পুলিশ আধিকারিকরা। তবে তাতে কাজ না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। রাস্তায় বসে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। দলের যুব মোর্চার এই বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত-সহ অন্যরা।
যোগাযোগ ভবনের সামনে এদিন মিছিলে বাধা দিতেই পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তিতে জড়িযে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। সজল ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন রাস্তায় বসেই প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে সরাতে দেখা যায় পুলিশকে। জোর করে তুলে নিয়ে প্রিজন ভ্যানে টেনে তোলা হয় তাঁদের। সজল ঘোশ, অগ্নিমিত্রা পাল, কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতকেও জোরকরে গাড়িতে তোলে পুলিশ।